মৃত ডাক্তারি পড়ুয়া অনিল নটবরভাই মেথানিয়া। —ফাইল চিত্র।
গুজরাতের মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এ বার ১৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধেই উঠেছিল র্যাগিংয়ের অভিযোগ। ধৃত ১৫ জন ছাড়াও আর কে কে এই ঘটনার নেপথ্যে আছেন, তার খোঁজ শুরু হয়েছে।
শনিবার গুজরাতের পাটন জেলার ধরপুরের জিএমইআরএস মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া অনিল নটবরভাই মেথানিয়ার মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। অভিযোগ, হস্টেলে ‘র্যাগিং’য়ের শিকার হয়েছিলেন অনিল। সিনিয়র পড়ুয়াদের কথায় টানা তিন ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। সে সময় আচমকাই মাথা ঘুরে পড়ে সংজ্ঞা হারান তিনি।
অভিযোগ, শনিবার রাতে জিএমইআরএস মেডিক্যাল কলেজের কয়েক জন পড়ুয়া প্রথম বর্ষের কয়েক জন ছাত্রকে ডেকে পাঠান। তিন ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয় তাঁদের। একটুও বসতে দেওয়া হয়নি। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই নানা ভাবে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের প্রশ্ন করতে থাকেন সিনিয়েরা। সে সময়ই অনিল জ্ঞান হারান। ছাত্রছাত্রীরাই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
অনিলের মৃত্যুর জন্য র্যাগিংকেই দায়ী করছে তাঁর পরিবার। এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা। পুলিশের তরফে কলেজের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। ঘটনার পরই কলেজ কর্তৃপক্ষ কয়েক জন পড়ুয়াকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পাটনের বালিসান থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে এফআইআর দায়ের হয়। তার পরই ১৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা সকলেই জিএমইআরএস মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। ইতিমধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেছেন। হস্টেলে এবং কলেজে তাঁদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy