কুনো থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরের গ্রাম থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে ওবানকে। প্রতীকী ছবি।
তাকে কিছুতেই কুনো জাতীয় উদ্যানে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছিল না। অবশেষে ‘ধরেবেঁধে’ তুলে নিয়ে আসা হল ওবানকে। দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে যে আটটি চিতাকে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আনা হয়েছিল, তাদের মধ্যে একটি এই চিতা।
গত ২ এপ্রিল কুনো জাতীয় উদ্যানের সীমানা পেরিয়ে পালিয়ে যায় ওবান। কুনো থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিজয়পুরের ঝড় বরোদা গ্রামে চিতাটিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। লোকালয়ে চিতা ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামে। বন দফতর সূত্রে খবর, চিতার পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েই দলবল নিয়ে ঝড় বরোদা গ্রামে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিতার হদিস মেলেনি। তার ঠিক পর দিন ওই গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের পার্বতী বরোদা গ্রামে নদী থেকে জল খেতে দেখা গিয়েছিল ওবানকে।
মঙ্গলবার কুনো জাতীয় উদ্যানের সীমানায় কিছু ক্ষণের জন্য ফিরে এসেছিল ওবান। ওবানের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল বন দফতর। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি এলেও না ঢুকে নাহাদ-সিলপুরা এলাকার চলে যায় সে। সেখান থেকে পিপারবাস অরণ্যে ঢুকে পড়ে ওবান। দু’দিন সেখানে ছিল। একটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারও করে চিতাটি।
গত পাঁচ দিন ধরে বন দফতরের বেশ কয়েকটি দল ওবানের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। আগরা ফরেস্ট রেঞ্জকেও সতর্ক করা হয়। কুনোতে ফেরার কোনও লক্ষণ না দেখে শেষমেশ বন দফতর বৃহস্পতিবার ওবানকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে অচৈতন্য করে। রামপুরা গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে কুনোতে নিয়ে আসা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy