প্রতীকী ছবি।
সংগ্রামপন্থী নাগা সংগঠনের কার্যত শেষ ঘাঁটি উৎখাত হয়ে গেল মায়ানমারে। অন্তত তেমনটাই দাবি ভারতীয় সেনা সূত্রের। গত কাল খাপলাং বাহিনীর ইয়ুং অং গোষ্ঠী মায়ানমারে থাকা নিকি সুমি, ন্যামলাং কন্যাক ও স্টারসনের নেতৃত্বাধীন নাগা জঙ্গি শিবিরে আক্রমণ চালায়। তিন নেতা পালাতে পারলেও গোটা শিবির ধ্বংস করে তাদের সব অস্ত্র-শস্ত্র দখল করে নিয়েছে ইয়ুং অং গোষ্ঠী।
প্রতিষ্ঠাতা খাপলাং মারা যাওয়ার পরে ২০১৭ সালে গোষ্ঠীর দায়িত্ব নেয় খাংঘো কন্যাক। কিন্তু ২০১৮ সালে খাংঘোকে সরিয়ে ইয়ুং দলের ভার নেয়। খাংঘো অন্য সঙ্গীদের নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিয়েছেন। মায়ানমারে থেকে লড়াই চালাতে থাকে ইয়ুং ও নিকি।
এ দিকে ভারত সরকার এক দিকে মায়ানমারের নাগা জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে মায়ানমার সরকারের উপরে চাপ বাড়াতে থাকে, অন্য দিকে ইয়ুংকেও আলোচনায় আসার চাপ দেওয়া হতে থাকে। কিন্তু সেনা কনভয়ে একাধিক বার হামলা চালানো, অনেক সেনার হত্যায় মূল অভিযুক্ত নিকিকে নিরাপদে পালাতে দেওয়া বা মামলা না করে শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে তৈরি ছিল না ভারত।
সম্প্রতি নিকি সুমি অভিযোগ তোলে, ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালানো এনএসসিএন আইএমের সঙ্গে গোপনে হাত মিলিয়েছে দলের নেতা ইয়ুং। ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে ইয়ুং স্বাধীন নাগালিম গঠনের আদর্শের সঙ্গে আপোস করতে চলেছে। তাই ইয়ুংকে বহিষ্কার করে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে বদল আনার কথা ঘোষণা করে সেনাধ্যক্ষ নিকি। অন্য দিকে ইয়ুং নিকিকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করে।
মায়ানমার সেনা গত এক বছর টানা হামলা চালিয়ে নাগা ও অন্য ভারতীয় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। একাধিক বার বেঁচে পালিয়েছে ইয়ুং। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বার তাকে আলোচনায় রাজি করানো গিয়েছে।
সেনা সূত্রে খবর, এর পরেই মায়ানমারে থাকা শেষ নাগা জঙ্গি ঘাঁটি উৎখাতে ভারতের মদত ও মায়নমার সেনার পৃষ্ঠপোষকতায় নিকির শিবিরে হানা চালায় ইয়ুং বাহিনী। পালাতে পারলেও নিকি, স্টারসন, ন্যামলাংদের পক্ষে ফের মায়ানমার নাগাদের নিয়ে দল চালানো সহজ হবে না। তাই নাগাল্যান্ডের সব ক’টি জঙ্গি সংগঠনকে এক মঞ্চে এনে শান্তি চুক্তি সই করানো এবং নাগা জঙ্গি সমস্যা বরাবরের মতো শেষ করার যে পরিকল্পনা ভারতের রয়েছে— তা এক ধাপ এগোল বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy