গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
তেলঙ্গানা, উন্নাওয়ের পর এ বার বিহারের মুজফফরপুর। দশ দিন লড়াইয়ের শেষে সোমবার রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হল অগ্নিদগ্ধ সেই নির্যাতিতার। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল রাজা রাই নামে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। বাধা দেওয়ায় ওই যুবক কেরোসিন ঢেলে তরুণীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি গত ৭ ডিসেম্বরের। ঘটনার পরই রাজা ও তার এক সঙ্গী মুকেশ কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন সন্ধ্যায় নাজিরপুরে নিজের বাড়িতে একাই ছিলেন বছর তেইশের ওই তরুণী। অভিযোগ, সেই সুযোগে প্রতিবেশী যুবক তাঁদের বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই যুবক। এই ঘটনায় তরুণীর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মুজফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে পটনায় স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই এত দিন চিকিত্সা চলছিল তাঁর।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার জামাইবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে যত ক্ষণ না সুবিচারের আশ্বাস দেবেন, আমরা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করব না।” সেই সঙ্গে তিনি নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। সোমবার দুপুরেই বেশ কিছু দাবি নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব সঞ্জয় কুমারের সঙ্গে দেখা করেন নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার। নয়াদিল্লিতে ভাল কোনও হাসপাতালে তরুণীর চিকিত্সার ব্যবস্থা করানোর দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। তরুণীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা নাজিরপুর গ্রাম। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
একই পরিণতির শিকার হয়ে গত ৬ ডিসেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল উন্নাওয়ের এক তরুণীর। তাঁকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় রায়বরেলী আদালতে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, সে সময়ই দুই অভিযুক্ত-সহ পাঁচ জন তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করে। তার পর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই ঘটনায় শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল নির্যাতিতার।
অন্য দিকে, গত ২৭ নভেম্বর তেলঙ্গানার শামশাবাদে তরুণী চিকিত্সককে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে চার ট্রাক কর্মীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy