পুরীর রথযাত্রা। ফাইল চিত্র।
শ্রীক্ষেত্রে দফায় দফায় বিক্ষোভ। এবং জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন ও সেবায়েতদের দফায় দফায় বৈঠক। শুক্রবার পুরীর ছবি বলতে এটাই। এই পটভূমিতেই করোনা-আবহে রথযাত্রা বন্ধ করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রদবদলের জন্য ওড়িশার এক মুসলিম তরুণের আর্জি সর্বোচ্চ আদালতে জমা পড়ল। নয়াগড়ের বাসিন্দা আফতাব হোসেন স্নাতক স্তরের ছাত্র। তাঁর আইনজীবী প্রণয়কুমার মহাপাত্র এ দিন দিল্লি থেকে আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘আফতাব রথযাত্রায় আগ্রহী। তাঁর মতে, ওড়িশার এই পরম্পরা অক্ষুণ্ণ থাকা উচিত। তাই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন।’’ কাল, রবিবার এ বিষয়ে তাদের মতামত জানাবে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে, মঙ্গলবার রথের দু’দিন আগে অবধি বিষয়টি ঝুলে থাকছে।
শেষ মুহূর্তে রথযাত্রা ভেস্তে যাওয়ায় মন্দিরের দয়িতাপতিদের বড়গ্রাহী (মনিটর) জগন্নাথ সোঁয়াইন মহাপাত্র, রামচন্দ্র দাস মহাপাত্রদের ক্ষোভ এখনও অটুট। পুরীর শঙ্করাচার্য আপাতত বলেছেন, হয় গজপতি মহারাজ-সহ সেবায়েতরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করুন, নয় তো মন্দিরের মধ্যেই রথের আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করুন। নবীন পট্টনায়ক প্রশাসনের বক্তব্য, অতিমারি কী চেহারা নেবে তা আগে বোঝা সম্ভব ছিল না। তাই ভিড় বন্ধ করে রথ তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এখনও সু্প্রিম কোর্টে যাচ্ছে না রাজ্য। শ্রী জগন্নাথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক সুরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘‘২০১৫-তে নবকলেবরে ব্রহ্মবদল বিভ্রাট থেকেই মন্দিরে নানা দুর্যোগ লেগে। সেবায়েতদের নানা কুঅভ্যাসেও মন্দিরে অনেক রদবদল আনতে হচ্ছে। এই সব অশুভ সঙ্কেতেই বিপর্যয়ের আভাস ছিল। প্রভু জগন্নাথ পুতুল নন। রথযাত্রার সঙ্কটও আদতে অশুভ পরিণাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy