(বাঁ দিকে) নিহত নেতা বাবা সিদ্দিকি। আনমোল বিশ্নোই (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনে আগেই নাম জড়িয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের। ঘটনার নেপথ্যে ‘মূলচক্রী’দের খুঁজতে এখনও চলছে তদন্ত। এ বার, তদন্তের স্বার্থে লরেন্সের প্রবাসী ভাই আনমোল ওরফে ‘ভানু’র কণ্ঠস্বরের নমুনাও খতিয়ে দেখা হবে। এমনটাই জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
অভিযোগ, আনমোল চলতি বছরের শুরুতে বলিউড অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনাতেও যুক্ত ছিলেন। সেই মামলাতেই তদন্তের স্বার্থে ডিরেক্টরেট অফ ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাব (ডিএফএসএল)-কে আনমোলের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে মুম্বইয়ের একটি আদালত। এই কাজে ব্যবহার করা হবে আততায়ী ভিকি কুমার গুপ্ত এবং আনমোলের একটি কথোপকথনের রেকর্ডিং। সেই নমুনা খতিয়ে দেখলে সিদ্দিকি-খুনের কিনারা করতেও সাহায্য হতে পারে পুলিশের।
সম্প্রতি বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনার তদন্তে উঠে আসে আনমোলের নাম। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ঘটনায় যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে বিদেশ থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন আনমোল। ‘স্ন্যাপচ্যাটে’ তার প্রমাণও মিলেছে। সূত্রের খবর, ভাড়া করা আততায়ীদের সিদ্দিকি ও তাঁর পুত্র জ়িশানের ছবিও পাঠিয়েছিলেন আনমোল। তদন্তকারীদের ধারণা, আমেরিকা এবং কানাডা থেকে এখনও সক্রিয় তিনি। দিন কয়েক আগেই আনমোলের বিরুদ্ধে ফের বিদেশে বসে ভীমসেনা প্রধান সতপাল তনওয়ারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে গুরুগ্রাম পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বিশ্নোই গ্যাংয়ের সর্বেসর্বা লরেন্স বর্তমানে গুজরাতের জেলে বন্দি। কিন্তু তাঁর ভাই আনমোল ভারতের বাইরে রয়েছেন। তাঁর নামে আগে থেকেই একাধিক মামলা ঝুলছে। ২০২২ সালে পঞ্জাবের সঙ্গীতশিল্পী সিধু মুসেওয়ালার খুনের সঙ্গেও আনমোলের যোগ ছিল বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১৮টি মামলা রয়েছে। সূত্রের খবর, আমেরিকা বা কানাডার কোথাও গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন আনমোল। তাঁকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) আনমোলের মাথার দাম ঘোষণা করেছে ১০ লক্ষ টাকা। আনমোল সম্বন্ধে কেউ তথ্য দিতে পারলে এই পুরস্কারমূল্য দেওয়া হবে তাঁকে।
গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় জ়িশানের দফতরের সামনে গুলি করে খুন করা হয় সিদ্দিকিকে। তিন জন আততায়ী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এক জন এখনও পলাতক। সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল ‘মাথা’দের শনাক্ত করতে জারি রয়েছে তদন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy