গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
এক মহিলাকে দেখে চোখ টেপা এবং তাঁর হাত স্পর্শ করার অপরাধে এক যুবককে শ্লীলতাহানির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করল মুম্বইয়ের আদালত। তবে দোষী সাব্যস্ত হলেও ওই যুবককে কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি। ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ওই যুবক যা করেছে, তাতে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া উচিত। কিন্তু আদালত তার বয়স এবং অতীতের অপরাধের ইতিহাস দেখে সেরকম কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।
অভিযুক্তের নাম মহম্মদ কাইফ ফকির। বয়স ২২। তার বিরুদ্ধে পুলিশের রেকর্ডে ইতিপূর্বে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাই ফকিরকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় (মহিলার শ্লীলতাহানি) দোষী সাব্যস্ত করলেও তার ভবিষ্যৎ এবং সামাজিক প্রভাবের কথা ভেবেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট আরতি কুলকার্নি। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ফকিরের আচরণে যে মানসিক যন্ত্রণা এবং হেনস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন অভিযোগকারিনী, তাকে কোনও ভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না আদালত। তাই ফকিরকে ১৫ হাজার টাকার জরিমানা দিতে হবে। পুলিশের কাছে হাজিরাও দিতে হবে নিয়মিত।
গত ২২ অগস্ট মুম্বইয়ের আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছিল তারও দু’বছর আগে। ২০২২ সালের এপ্রিলে। মুম্বইয়ের বাইকুল্লা থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতার স্বামী। অভিযোগ অনুযায়ী, নির্যাতিতা স্থানীয় মনিহারির দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে সেগুলি বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে বলেছিলেন। সেই জিনিস সরবরাহ করতেই তাঁর বাড়িতে যায় ফকির। পুলিশকে ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী জানিয়েছেন, দরজা খোলার পরে মহিলার কাছ থেকে ফকির প্রথমে জল চায়। তিনি জল নিয়ে এলে গ্লাস ধরার সময় মহিলার হাত স্পর্শ করে। সেই সময়েই মহিলাকে দেখে সে চোখ টেপে। পরে দোকানের জিনিসপত্রের থলেটি দেওয়ার সময়ও একই ঘটনা ঘটে। আবার হাত স্পর্শ করে ফকির। এবং আবার এক চোখ টিপে বিশেষ ইঙ্গিত করে। এর পরেই ওই মহিলা চিৎকার করে ওঠায় সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আদালতকে সপক্ষে ফকির জানিয়েছিল, সে মহিলার হাত ভুল করে স্পর্শ করেছিল এবং ওই মহিলার শ্লীলতাহানি করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তার। কিন্তু আদালত জানিয়ে দেয় এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে, ফকিরের আচরণের ওই মহিলার শ্লীলতাহানি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy