প্রতীকী চিত্র।
দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে তৈরি হওয়া কয়লা সঙ্কট প্রসঙ্গে এ বার নড়েচড়ে বসল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিশেষত দিল্লিতে এই আসন্ন সঙ্কট মোকাবিলায় এ দিন বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে।
কালই কয়লা ও শক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক সেরেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লিতে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনও তারতম্য না-হয় তা নিশ্চিত করার জন্য ‘ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন’ (এনটিপিসি) এবং ‘দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন’ (ডিভিসি)-কে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ‘ডিস্ট্রিভিউশন কোম্পানিগুলি’ (ডিসকম) যাতে তাদের চাহিদা মতো বিদ্যুৎ পায় নজর রাখতে বলা হয়েছে সে দিকেও। নির্দেশ পালন করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছে দুই সংস্থাই।
একই সঙ্গে, কয়লার উপর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভার চাপানোর দিকেও নজর রেখেছে কেন্দ্র। যে সব উৎপাদন কেন্দ্রে গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় সেখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করার চিন্তাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি, যে রাজ্যগুলিতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে সেখান থেকে ঘাটতির মুখে পড়া কোনও রাজ্যে তা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগে যদি কেউ ‘বিদ্যুৎ বিক্রির’ চেষ্টা চালায় তাতে কড়া শাস্তির নিদানও রয়েছে নির্দেশিকায়।
শক্তি মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমাদের কাছে খবর রয়েছে যে কিছু রাজ্য ইচ্ছে করে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে লোডশেডিং করে রাখছে। এ দিকে পাওয়ার এক্সচেঞ্জে চড়া দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে।’’ মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘‘নিজেদের গ্রাহকদের উপেক্ষা করে এ ভাবে বিদ্যুৎ বিক্রি বন্ধ করা উচিত।’’
তবে বিরোধীরা বলছেন, এই অবস্থানে এক দিনে আসেনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর। বরং বিপর্যস্ত রাজ্যগুলির চাপেই শেষমেশ নিজেদের অবস্থান বদলাতে বাধ্য হয়েছে তারা। কারণ, দিন দুয়েক আগেও ‘কয়লার জোগান স্বাভাবিক রয়েছে’ বলে দাবি করা হয় কেন্দ্রের তরফে। যদিও তত দিনে দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে কেন্দ্রের কাছে একাধিক চিঠি পাঠান বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীরা। যেই তালিকায় রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও। ‘পরিস্থিতি গুরুতর’ বলে দাবি করে কেজরীবাল প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছিলেন, বর্তমানে যা ধারা তা চলতে থাকলে আগামী দিনে রাজধানীর বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। একই পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কায় সরব হয় মহারাষ্ট্র, কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার এবং তামিলনাড়ুও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy