Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Mukhtar Abbas Naqvi

‘পাকিস্তানে যাও’ মন্তব্য সত্যি হলে পদক্ষেপ ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে, বার্তা নকভির

নকভি বলেন, “নিরীহরা যাতে কোনও রকম ভোগান্তির শিকার না হন, সেটাও খেয়াল রাখা উচিত পুলিশেরও।”

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:১৬
Share: Save:

সহকর্মী ও শীর্ষ আধিকারিকরা পাশে দাঁড়ালেও মেরঠ পুলিশ সুপার অখিলেশ নারায়ণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কড়া বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। তিনি বলেন, “ভিডিয়োতে ধরা পড়া ওই মন্তব্য যদি সত্যিই ওই পুলিশ সুপারের হয়, তা হলে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”

নকভি আরও বলেন, “পুলিশ বা জনতা যাঁদের দ্বারাই হিংসা পরিস্থিতি তৈরি হোক না কেন, সেটা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এটা গণতান্ত্রিক দেশে চলতে পারে না। শুধু তাই নয়, নিরীহরা যাতে কোনও রকম ভোগান্তির শিকার না হন, সেটাও খেয়াল রাখা উচিত পুলিশের।”

অখিলেশের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। গত ২০ ডিসেম্বর মেরঠে হিংসার সময়ের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে দলবল নিয়ে ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন অখিলেশ নারায়ণ। সে সময় একটি গলিতে ফেজ টুপি পরা কয়েক জন মুসলিম দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য করে পুলিশ সুপারকে শাসাতে শোনা যায়, “যদি এ দেশে থাকতে ইচ্ছা না করে তা হলে পাকিস্তানে চলে যাও। থাকবে এখানে আর গান গাইবে অন্য দেশের, এটা চলবে না! সব কটাকে শেষ করে দেব।”

ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরই বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। ফের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় যোগীর পুলিশকে। যদিও অখিলেশের দাবি, তাঁদের দেখামাত্রই বেশ কিছু লোক পাকিস্তানের স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁরা কিছু গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছিলেন। তার পরই তাঁরা গলিতে ঢুকে পড়েন। ওই গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন লোককে শুধু ধমক দিয়েছিলেন তিনি।

অখিলেশ নারায়ণের মন্তব্য নিয়ে যখন সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে, মেরঠ পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের অভিযোগ খারিজ করেছেন। মেরঠ পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি প্রশান্ত কুমার এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রতি দিন ঘটে চলা ঘটনার ক্ষেত্রে তাঁর মন্তব্যের ধরন একটু অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু ওখানে ভারত-বিরোধী স্লোগান উঠছিল। কিছু মানুষ আপত্তিকর পুস্তিকা বিলি করছিলেন। অখিলেশ সেখানে গিয়ে শুধু বলেছিলেন, আপনারা যেখানে খুশি যান, তবে ভাঙচুর চালাবেন না।” তাঁর আরও দাবি, এমন হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে পুলিশ অনেক সহনশীলতার সঙ্গে কাজ করেছে। কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেনি। যারা এই ভিডিয়ো ছড়িয়েছেন তাঁরা রাজ্যের পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করতে চাইছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy