হিমাচল প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মুকেশ অগ্নিহোত্রী। ফাইল চিত্র।
হিমাচল প্রদেশে সদ্য ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে সুখবিন্দর সিংহ সুখুকে। আর উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে মুকেশ অগ্নিহোত্রীকে।
কে এই মুকেশ?
ছোটবেলা থেকে রাজনীতির পরিবেশের মধ্যেই বড় হয়েছেন মুকেশ। ১৯৬২ সালে পঞ্জাবের সাঙ্গরুরে জন্ম হিমাচলের হবু উপমুখ্যমন্ত্রীর। স্কুলজীবন কেটেছে সাঙ্গরুরেই। গণিতে স্নাতকোত্তর করেছেন মুকেশ। তার পর জনসংযোগ নিয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেছেন তিনি। পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন সাংবাদিকতাকে। রাজনীতিতে আসার আগে দশ বছর সাংবাদিকতা করেছেন মুকেশ।
মুকেশের বাবা প্রয়াত ওঙ্কারচাঁদ শর্মা এক জন জনসংযোগ আধিকারিক ছিলেন। তিনিও হিমাচলের কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এক জন ছিলেন। ১৯৯৮ সালে সন্তোকগড় থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু জিততে পারেননি। ফলে পরিবারে কংগ্রেসের একটা ছাপ ছিলই। আর বাবার পথকে অনুসরণ করেই রাজনীতিতে পা রাখেন মুকেশ।
মুকেশের রাজনৈতিক দক্ষতায় আকৃষ্ট হয়েছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ। তিনিই মুকেশকে সন্তোকগড় থেকে নির্বাচনে লড়ার পরামর্শ দেন। সাল ২০০৩। ওই বছরেই রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ মুকেশের। কংগ্রেসও তাঁকে সন্তোখগড় থেকে নির্বাচনে লড়ার টিকিট দেয়। বাবা ওঙ্কারচাঁদ যে আসনে হেরে গিয়েছিলেন, সেই আসন থেকেই ভাল ভোট পেয়ে জয়ী হন মুকেশ। এখান থেকেই হিমাচলের উপমুখ্যমন্ত্রীর রাজনীতির উত্তরণের পথ শুরু। নিজের কর্মদক্ষতায় জায়গা করে নিয়েছিলেন বীরভদ্রের মন্ত্রিপরিষদে। তাঁকে সংসদীয় সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৭ এবং ২০১২ সালের নির্বাচনে জয়ী হন মুকেশ। ২০১২ সালে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী হন।
২০১৭ সালে ফের জয়ী হন মুকেশ। তখন তাঁকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে দায়িত্ব দেয় দল। বিরোধী দলনেতা হিসাবে নিজের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন মুকেশ। সুবক্তা হিসাবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর বীরভদ্রের স্ত্রী মুকেশকেই ওই পদের জন্য সমর্থন করে গিয়েছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর পদ সুখরামকেই দিয়েছে দল। আর মুকেশকে তাঁর ডেপুটি বানিয়ে আপাতত দলের দুই শিবিরের মনরক্ষার পথে হেঁটেছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy