(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা ও রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের বড় নেতারা ভোটের আগেই নিজেদের হবু মুখ্যমন্ত্রী বলে ভাবতে শুরু করেছিলেন। তাঁরা বেছে বেছে নিজেদের ঘনিষ্ঠদের প্রার্থী করেছিলেন। সংগঠনের মধ্যেও বিভ্রান্তি ছিল। উল্টো দিকে মহায্যুতি সরকার ‘লাড়কি বহিন’ প্রকল্পে মহিলাদের হাতে সাড়ে সাত হাজার টাকা তুলে দিয়ে বাজিমাত করেছে বলে আজ রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে জানালেন মহারাষ্ট্রের মহিলা কংগ্রেস সাংসদরা।
কংগ্রেস যখন প্রকাশ্যে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে হারের জন্য ইভিএম থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারচুপির দিকে আঙুল তুলছেন, তখন রাজ্যের মহিলা সাংসদরা রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে জানান, নিজের দোষেই দল হেরেছে।
আজ রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা সংসদ ভবনে লোকসভায় কংগ্রেসের মহিলা সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মহারাষ্ট্রের সাংসদ বর্ষা গায়কোয়াড়, প্রণতি শিন্দে, শোভা বচ্ছাও, প্রতিভাধানোরকরও ছিলেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে মহারাষ্ট্রের এই মহিলা সাংসদরা নাম না করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের ভূমিকার দিকে আঙুল তোলেন। বলেন, কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি মজবুত করার কোনও চেষ্টা হয়নি। মহিলা সাংসদরা রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে জানান, মহা বিকাশ আঘাড়ীর জোটে আসন রফা ঠিক মতো না হওয়ায় বহু আসনে বিক্ষুব্ধরা প্রার্থী হয়েছিলেন। বড় নেতারা ভোটের আগেই নিজেদের হবু মুখ্যমন্ত্রী বলে ভাবতে শুরু করায় স্থানীয় সাংসদদের মত জানতে চাননি।
আজও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকা থেকে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্র পিছু ১০ হাজার নাম বাদ যাওয়া এবং ভোটগ্রহণের দিন বিকেল পাঁচটার পরে ভোটের হার ‘অস্বাভাবিক’ বেড়ে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু রাহুলের সঙ্গে রাজ্যেরই এক সাংসদ জানিয়েছেন, তাঁর জেলার এক কংগ্রেস নেতা নিজেকে বাদ দিয়ে বাকি সবাইকে হারাতে বিক্ষুব্ধ প্রার্থী খাড়া করেছিলেন। আঘাড়ীর মধ্যে শিবসেনার মতো দলের সঙ্গে প্রচারের ক্ষেত্রেও কোনও সমন্বয় ছিল না। অন্য দিকে বিজেপি বুথ স্তর থেকে ভোটের প্রস্তুতি নিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy