সাংসদদের নতুন ভিলা। নিজস্ব চিত্র
রাত গড়ালে বিজেপির সাংসদেরা হানা দিচ্ছেন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবন লাগোয়া নর্থ অ্যাভিনিউয়ে।
সেখানেই যে তৈরি হয়েছে ঝাঁ-চকচকে বিলাসবহুল ৩৬টি নতুন ভিলা। তুলে দেওয়া হবে নতুন লোকসভার সদস্যদের হাতে।
প্রতিটি ভিলা দোতলা। বেসমেন্টে নিজের দু’টি গাড়ি রাখার জায়গা। সেখান থেকেই লিফ্টে চেপে সোজা চলে যাওয়া যাবে এক তলা বা দোতলায়। এক তলায় বসার জন্য পেল্লায় একটি ঘর, তাতে আধুনিক ঝাড়লণ্ঠন। পাশে অফিস-ঘর, সচিবের থাকার জায়গা। একটি বেডরুম। মডিউলার কিচেন। ‘গোপন বৈঠক’ করার জন্য আলাদা একটি ঘর। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলে আরও তিনটি বেডরুম। মাস্টার বেডরুমে কাঠের মেঝে। সব বাথরুমে সেন্সর লাগানো। কেউ ঢুকলে নিজে থেকে আলো জ্বলে উঠবে। বেরিয়ে গেলে নিভে যাবে। প্রতিটি বেডরুমে আলাদা ব্যালকনি। এক তলায় সামনে একটি করে ছোট বাগান।
এমন একটি ‘স্বপ্নের ঘর’ পেতেই নিত্যদিন উঁকিঝুঁকি সাংসদদের। পূর্ত দফতরের অফিসারদের কাছেও খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন। সকলেরই চোখ নতুন ‘ডুপ্লে ভিলা’গুলির ওপর। আপাতত সাংসদদের দিল্লিতে বিভিন্ন রাজ্যের ভবনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলো বা ভিলা বরাদ্দ পাওয়ার আগে অন্তত মাস তিনেক সেখানেই থাকতে হবে। মোদী সরকার আগেই নির্দেশ দিয়েছে, এ বারে আর কোনও পাঁচতারা হোটেলে সাংসদদের অস্থায়ী ভাবে রাখা হবে না। তার পরে যে সাংসদ যত পুরনো, তার ভিত্তিতে বাংলো ও ভিলা বরাদ্দ হবে।
নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘অনেক সাংসদের অনুরোধ আসছে। কিন্তু কাদের কাদের এগুলি বরাদ্দ করা হবে এখনও স্থির হয়নি।’’ তবে মন্ত্রক সূত্রের মতে, এ ধরনের ভিলা তৈরি সবে শুরু। নর্থ অ্যাভিনিউ ও সাউথ অ্যাভিনিউতে সাংসসদের থাকার বাকি ঘরগুলি গুঁড়িয়ে সবটাই এ ধরনের অত্যাধুনিক ভিলা করার ভাবনা আছে সরকারের। খরচ বাঁচাতে প্রতিটি ভিলায় সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিজেপির সাংসদ রাজীবপ্রতাপ রুডি দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের সক্রিয় সদস্য। যেখানে সব দলের সাংসদদের আনাগোনা। নরেন্দ্র মোদীর আগের সরকারের আমলেই অনেক সাংসদ এ ধরনের একটি থাকার জায়গার অনুরোধ করেন। সে সময় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু, আজ যিনি দেশের উপরাষ্ট্রপতি। রুডি জানান, ‘‘বেঙ্কাইয়া নায়ডু প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিলে তিনিই মঞ্জুর করেন। মন্ত্রক আগে যে নকশা তৈরি করেছিল, সেটিও বদলানো হয়। রীতিমতো দাঁড়িয়ে থেকে এই বাড়ি তৈরি করা হয়েছে।’’
একেবারে রাষ্ট্রপতি ভবনের লাগোয়া বলে নিরাপত্তার কারণে বেসমেন্টে গাড়ি রাখার জায়গা করা নিয়েও আপত্তি উঠেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই তার সমাধান হয়। আপাতত ধরে নেওয়া হচ্ছে, যে সব সাংসদ প্রবীণ, তাঁদেরই বরাদ্দ হবে এই ভিলা।
এখন দেখার, কাদের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy