মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময়ের ‘মধুফাঁদ’ চক্র আবার খবরের শিরোনামে। ফাইল চিত্র।
তিন বছর আগে দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছেই রয়েছে ‘মধুফাঁদের’ (হনিট্র্যাপ) আসল পেন ড্রাইভ। কিন্তু অবস্থান বদলে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমল নাথ জানালেন, তাঁর কাছে ২০১৯ সালের সেই আলোড়ন ফেলা ঘটনার কোনও সিডি বা পেন ড্রাইভ নেই।
২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ‘মধুফাঁদের’ বিষয়টি প্রথম সামনে আসে। সুন্দরী নারীসঙ্গের টোপ দিয়ে বিভিন্ন রাজনীতিক এবং আমলাদের কাছ থেকে মোটা টাকা মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের ‘পর্দাফাঁস’ করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। ৫ মহিলা-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে তারা। কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় একাধিক গোপন (স্পাই) ক্যামেরা, অশ্লীল ভিডিয়োর পেনড্রাইভ এবং নগদ ১৪ লক্ষ টাকা।
এই ঘটনায় ঠিক কাদের ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল, তা নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা না হলেও বিজেপির মধ্যপ্রদেশ ও জাতীয় স্তরের একাধিক নেতা-মন্ত্রী এবং আমলারা এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন বলে কানাঘুষো শুরু হয়, যা প্রকাশ পায় সংবাদমাধ্যমেও। জানা যায়, ভোপালের একটি নামী ক্লাবে নিয়মিত আনাগোনা ছিল তাঁদের। সুন্দরী মহিলাদের নিয়ে ঘর বুক করে প্রায়শই সেখানে আমোদ-প্রমোদে মেতে উঠতেন। এমনকি, তাঁদের সঙ্গ দিতে ডাক পড়ত কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদেরও!
ঘটনার সময় কমল মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন। কিন্তু সিডি-কাণ্ডের কয়েক মাসের মধ্যে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং তাঁর অনুগামী বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কুর্সি হারান কমল। তিনি পরে বলেছিলেন, বিজেপি নেতাদের ‘কুকীর্তির’ আসল সিডি তাঁর কাছে রয়েছে। যদিও এ বার বয়ান বদলে কমলের দাবি, সে সময় কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক তাঁকে দেড় মিনিটের একটি ভিডিয়ো ফুটেজ দেখিয়েছিলেন। তিনি ফুটেজটির ৩০ সেকেন্ড দেখে তদন্তের নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy