— প্রতীকী চিত্র।
ছ’দিনের কন্যাসন্তানকে স্তন্যপান করানোর সময় গলা টিপে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন মা। পশ্চিম দিল্লির ঘটনা। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিশুকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়ে ওই যুবতী জানিয়েছেন, মানসিক অবসাদ থেকে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে শিশুকে খুন করে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে এসেছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শিবানী। গত শুক্রবার স্বামীকে নিয়ে থানায় এসেছিলেন ২৮ বছরের যুবতী। অভিযোগ করেন তাঁর দুধের শিশু হারিয়ে গিয়েছে। অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তদন্ত শুরুর প্রথমেই মায়ের উপর সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। পুলিশ জানতে পারে সপ্তাহখানেক এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন শিবানী। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন। শুক্রবার শিশুকে স্তন্যপান করানোর সময় তার গলা টিপে খুন করেন তিনি।
শিশু নিখোঁজের অভিযোগ করতে আসা মায়ের হাবভাবেও সন্দেহ হয়েছিল পুলিশের। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পুলিশকে মেয়ে খোঁজার ভার দিয়ে আবার হাসপাতালে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত যুবতী। অভিযোগ দায়েরের পর মেট্রো স্টেশন-সহ বিভিন্ন জায়গায় শিশুটির খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে মায়ের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর করতে গিয়েই আসল তথ্য পায় পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদে শিবানী স্বীকার করে নেন মেয়েকে খুনের পর একটি ব্যাগে পুরে ছাদে রেখে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথা মতো বাড়ির ছাদে গিয়ে পুলিশ ব্যাগটি উদ্ধার করে। তার ভিতরে মেলে সদ্যোজাতের দেহ।
কিন্তু কী জন্য সদ্যোজাতকে খুন করলেন মা? প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে এর আগে দু’টি মেয়ের জন্ম দিয়েছিলেন শিবানী। কিন্তু তাদের দু’জনেই অসুখের কারণে মারা যায়। আবার মেয়ের জন্ম দেওয়ার পর ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছেন, আবার কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকেই তাঁর মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, একেও তিনি বাঁচাতে পারবেন না। ক্রমাগত এই ভাবনা চেপে বসে তাঁর মাথায়। মানসিক অবসাদের কারণে হঠাৎ মেয়েকে খুন করে বসেন তিনি।
যদিও মেয়েকে খুনের পরে নিখোঁজের গল্প ফেঁদে শহর থেকে দূরে কোথাও শিবানী পালানোর ছক কষছিলেন বলে মনে করছে পুলিশ। তারা অভিযুক্ত ওই মায়ের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। গ্রেফতারির পাশাপাশি ধৃতের কাউন্সেলিংয়ের জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের দেখানো হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, প্রসবোত্তর অবসাদে ভুগছেন শিবানী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy