Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Delhi Pollution

বিষ বায়ুতে ধুঁকছে রাজধানী, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশিতে জর্জরিত ৮০ শতাংশ! দাবি সমীক্ষায়

দীপাবলির পর থেকেই দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। গত কয়েক দিনে দূষণের সূচকে তা ধারাবাহিক ভাবে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা পাচ্ছে। শনিবার দূষণের সূচক’ ‘অতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।

দীপাবলির পর থেকেই দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে।

দীপাবলির পর থেকেই দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। —ফাইল ছবি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ০৯:০১
Share: Save:

দিল্লির ৮০ শতাংশ পরিবার বায়ু দূষণ সংক্রান্ত অসুস্থতায় ভুগছে, এমনটাই দাবি একটি সমীক্ষায়। ওই সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে দিল্লিতে বসবাসকারী ৮০ শতাংশ পরিবারের কোনও না কোনও সদস্য দূষণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই সমীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে দিল্লির বর্তমান পরিস্থিতির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

দীপাবলির পর থেকেই দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। গত কয়েক দিনে দূষণের সূচকে তা ধারাবাহিক ভাবে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা পাচ্ছে। শনিবার দিল্লির ‘বাতাসের গুণমানের সূচক’ (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ‘অতি ভয়াবহ’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। অবিলম্বে এই দূষণ কমার সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছেন না পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

দূষণের কারণে দিল্লির বাতাসে ধোঁয়ার আস্তরণ তৈরি হয়েছে। রাজধানীর বাসিন্দারা কেউ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। কেউ আবার চোখ জ্বালা, মাথা যন্ত্রণার মতো শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, দিল্লির বাতাস ক্রমশ হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী।

সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে বসবাসকারী ওই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ১৮ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যে দূষণজনিত অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। ২২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে দূষণজনিত শারীরিক সমস্যা নিয়ে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি এবং চোখ জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শ্বাস নিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মানুষ। এ ছাড়াও, মাথাব্যথা, ঘুম না হওয়া, কোনও কাজে মন দিতে না পারা কিংবা অনাবশ্যক অস্থিরতার মতো উপসর্গেও ভুগছেন কেউ কেউ।

দূষণের ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বয়স্ক মানুষরা। এ ছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রেও দিল্লির বাতাস ক্ষতিকারক হয়ে উঠেছে। যাঁদের হৃৎপিণ্ড কিংবা ফুসফুসের অসুখ রয়েছে, তাঁদের পক্ষে এই বাতাস অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে সর্বত্র মাস্ক পরে চলাফেরা করার নিদান দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

দূষণ পরিস্থিতির মাঝে দিল্লিতে স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। বৃহস্পতিবার থেকে ডিজেল চালিত গাড়ির উপরেও কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। সম্প্রতি দূষণ আগের চেয়ে কিছুটা কমায় গাড়ির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। স্কুল খোলা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সোমবার।

বাতাসের গুণমানের সূচক ৩৫১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে থাকলে বাতাসের মান ‘ভয়াবহ’ বলা হয়। ৫০০ ছাড়িয়ে গেলে তা হয়ে ওঠে ‘অতি ভয়াবহ’। গুণমানের এই সূচকটি নির্ভর করে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম ২.৫)-এর উপরে। কার্যত কোনও অঞ্চলে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম ২.৫-এর উপস্থিতির হারই সেই অঞ্চলের বাতাসের গুণমানের সূচক। ফুসফুসের ক্ষেত্রেও সব থেকে বিপজ্জনক এই অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই দিল্লির বাতাসে যা ঊর্ধ্বমুখী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy