হিমাচল প্রদেশে মেঘভাঙা বৃষ্টির পর হড়পা বান। ফাইল চিত্র।
বর্ষার চলতি মরসুমে সারা উত্তর ভারত জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি। দিল্লি থেকে শুরু করে পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড কিংবা উত্তরপ্রদেশ, একাধিক রাজ্যে এ বছরের বর্ষায় প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু হিমাচল প্রদেশেই বর্ষার কারণে ১২০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন।
পাহাড়ে মুহুর্মুহু ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বান বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে রাস্তাঘাট, সেতু এবং বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ২৪ জুন হিমাচল প্রদেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান, তাতে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে মোট ৪,৬৩৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সোমবারও কুলুর একটি গ্রামে আচমকা মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। তাতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও তিন জন আহত হন। মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে ওই এলাকায় হড়পা বান আসে। তাতে একাংশের রাস্তাঘাট ভেসে যায়। বিচ্ছিন্ন হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। বহু মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কিন্তু চিন্তার মেঘ তাতে কাটছে না।
হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি বর্ষায় উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতিও শোচনীয়। টানা বৃষ্টিতে সেখানে গঙ্গার জল বেড়ে গিয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে পাহাড়ি নদীগুলি। দেবপ্রয়াগ এবং হরিদ্বারে গঙ্গার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছে প্রশাসন। গঙ্গার জলস্তর পৌঁছেছে ৪৬৩.২০ মিটারে, যার ফলে প্লাবিত হয়েছে সঙ্গম ঘাট, রামকুণ্ড, ফুলাদি ঘাটের মতো এলাকা। হরিদ্বারে গঙ্গা ফুঁসে উঠেছে, বিপদসীমা পেরিয়ে জলস্তর পৌঁছেছে ২৯৩.১৫ মিটারে।
এই পরিস্থিতিতেও আশার বাণী শোনাতে পারছে না মৌসম ভবন। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে এখনই বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা নেই। বরং আগামী কয়েক দিন ভারী থেতে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই রাজ্যেই। ফলে নদীর জল আরও বেড়ে যেতে পারে। রয়েছে ধস, হড়পা বানের সতর্কতাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy