সন্ত্রাসের অভিযোগে মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে গত কাল ১৩ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে সে দেশের আদালত। রাত পোহাতেই মলদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। টুইটারে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরুদ্দিন জানান, ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছে নয়াদিল্লি।
মলদ্বীপের ইতিহাসে মহমদ নাশিদই প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। ৩০ বছরের স্বৈরাচারী শাসক মাউমুন আব্দুল গায়ুমকে হারিয়ে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসেন নাশিদ। অভিযোগ, দেশের মুখ্য বিচারককে গ্রেফতার ও আটকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর ২০১২-র ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশ ও সেনা অভ্যুত্থানে পদ ছাড়তে হয় নাশিদকে। ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের এই প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সুসম্পর্ক ছিল বরাবরই। এমনকী, গ্রেফতারি এড়াতে ২০১৩-এর ফেব্রুয়ারি মাসে মালের ভারতীয় হাই কমিশনে এসে আশ্রয়ও নিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এ বছর ২২ ফেব্রুয়ারি ধরা পড়েন মহমদ নাশিদ। শুক্রবার গভীর রাতে সন্ত্রাস দমন আইনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে স্থানীয় ফৌজদারি আদালত। তিন বিচারকের বেঞ্চ জানিয়েছে, বিচারক আবদুল্লা মহমদকে গ্রেফতার ও আটকে রাখার প্রমাণ মিলেছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতেই তাঁকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি শুনিয়েছে কোর্ট।
তবে নাশিদের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। রায় ঘোষণার চার দিন আগে বিচারকদের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা থেকে সরে দাঁড়ান নাশিদের আইনজীবী। তাঁর আরও অভিযোগ, মক্কেলের রাজনৈতিক জীবন শেষ করতেই চক্রান্ত করছে সরকার। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সাজা ঘোষণা নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকাও। শনিবার এক বিবৃতিতে ওবামা প্রশাসন জানিয়েছে, মলদ্বীপের আইন ও আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা মেনে এই বিচার হয়নি বলেই বিভিন্ন জায়গা থেকে রিপোর্ট পেয়েছে তারা। এমন হল সেই প্রশ্ন তুলে বিচারকদের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। কেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy