—ফাইল চিত্র।
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ঠিকই, কিন্তু বর্তমান ভারত সরকারের কিছু পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করলেন আমেরিকান প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা। বুধবার আমেরিকান কংগ্রেস সদস্যদের নিয়ে বিদেশ দফতরের একটি সাব-কমিটিতে ‘ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে গণতন্ত্র’ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ার অ্যাক্টিং সহযোগী বিদেশসচিব ডিন টম্পসন সেখানে এই কথা বলেন।
টম্পসনের মতে, ‘‘ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র বটেই। আইনের শাসন এবং স্বাধীন বিচারবিভাগ সেখানে রয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কৌশলগত মিত্রতাও মজবুত। কিন্তু ভারত সরকারের কিছু পদক্ষেপ উদ্বেগজনক এবং তা ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে খাপ খায় না।’’ কোন কোন পদক্ষেপ? টম্পসন উল্লেখ করেছেন, বাকস্বাধীনতার উপরে ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের আটক করার প্রবণতার কথা। বাইডেন প্রশাসন এ সব নিয়ে নিয়মিত ভারতের সঙ্গে কথা বলে, এমনই দাবি তাঁর। সেই সঙ্গে কাশ্মীর নিয়েও নিয়মিত কথা হয় বলে জানান তিনি। কাশ্মীরে দ্রুত স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমেরিকা জোর দিয়ে চলেছে বলে দাবি করেছেন টম্পসন। শীঘ্র ভোট করানোর কথা তারা বলেছে। সেই সঙ্গে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া, ইন্টারনেট ফিরিয়ে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ যে ভারত ইতিমধ্যেই করেছে, সেটাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
এর আগে একাধিক সমীক্ষা রিপোর্টে ভারতে গণতন্ত্রের হাল নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মার্চ মাসে আমেরিকা প্রশাসনের সাহায্যপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ফ্রিডম হাউসের রিপোর্টে ভারতীয় গণতন্ত্রকে ‘আংশিক গণতন্ত্রে’র তকমা দেওয়া হয়েছিল। ভারত সরকার সে সব রিপোর্টকে একদেশদর্শী বলে মনে করে। টম্পসন অতটা কড়া কথা না বললেও গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়লেন না। দিল্লি এর জবাবে কী বলে, সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy