Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Digital Books

মোদী চান ই-বই

দলীয় নেতাদের মুখ থেকে যাবতীয় পরিসংখ্যান ধৈর্য ধরে শুনলেন মোদী। সব শুনে দাবি করলেন, অন্যান্য দলের মতো সংগঠনকে শুধু ভোটে জেতার অস্ত্র হিসেবে দেখেন না তাঁরা।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২০ ০১:৪৯
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রীর সামনে ভিডিয়ো-কনফারেন্স। কোনও রাজ্যের বিজেপি নেতা বললেন, লকডাউনের সময়ে কত লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়ি পৌঁছতে সাহায্য করেছেন তাঁরা। কত জোড়া জুতো কিনে দেওয়া হয়েছে বাড়ি ফিরতি কর্মীদের, কত দরিদ্রের বাড়িতে পৌঁছেছে নরেন্দ্র মোদীর নামাঙ্কিত খাবারের প্যাকেট, দলের উদ্যোগে রেশন পেয়েছেন কত জন, কত মাস্ক তৈরি হয়েছে, বিলিই বা করা হয়েছে কত পিপিই কিট।

দলীয় নেতাদের মুখ থেকে যাবতীয় পরিসংখ্যান ধৈর্য ধরে শুনলেন মোদী। সব শুনে দাবি করলেন, অন্যান্য দলের মতো সংগঠনকে শুধু ভোটে জেতার অস্ত্র হিসেবে দেখেন না তাঁরা। ক্ষমতা বরং তাঁদের কাছে সেবার মাধ্যম। বিরোধীদের প্রশ্ন, তা হলে বার বার বিভিন্ন রাজ্যে সরকার গড়তে বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনা-বেচার অভিযোগ উঠেছে কেন?

শনিবার ভিডিয়ো-কনফারেন্স মারফত বিজেপির নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউনের কঠিন সময়ে দলীয় কর্মীরা কী ভাবে কাজ করেছেন, মূলত তার খতিয়ান নেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। সেখানে নিজেদের কাজকর্ম মোদী, অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সামনে তুলে ধরেন বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অসম, মহারাষ্ট্র-সহ সাত রাজ্যের বিজেপি নেতারা। প্রত্যেক রাজ্যকে তার জন্য অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় ভাষাতেও। বাকি রাজ্যের নেতাদের কাছে তাঁর অনুরোধ, কাজের বিবরণ লিখিত ভাবে পাঠানো হোক।

মোদীর দাবি, এই বিপুল কর্মযজ্ঞের ছিটেফোঁটাও পশ্চিমী দুনিয়ায় হলে শোরগোল পড়ে যেত। ভারত বলেই তা হয়নি। কিন্তু আগামী দিনে যাতে তা ইতিহাসের অঙ্গ হয়ে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন তিনি। প্রত্যেক জেলা, রাজ্য এবং শেষে দেশের জন্য এই সমস্ত কাজের সংকলন হিসেবে তৈরি করতে বলেছেন ডিজিটাল বই। তার কাজ শেষ করতে বলেছেন ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। যে দিন দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী পালন করে দল।

কাজের যাবতীয় ফিরিস্তি শোনার পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসঙ্ঘ এবং বিজেপির জন্মই হয়েছে সুখী এবং সমৃদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষ্যে। লকডাউনের কঠিন দিনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও দলের কর্মী ও নেতারা যে ভাবে দরিদ্র, অসহায়, বৃদ্ধ, পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে দলের এক জন সৈনিক হিসেবে তিনি গর্বিত। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য শুনে ট্রেড ইউনিয়নগুলির একাংশের প্রশ্ন, যে প্রধানমন্ত্রী দরিদ্রদের প্রতি এমন সমব্যথী এবং সহমর্মী দলের প্রতিনিধি, তাঁর সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের অত কষ্ট দেখেও পাশে দাঁড়ায়নি কেন? কী কারণে কাজ খুইয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হল অনেককে? বহু নামী অর্থনীতিবিদ বলার পরেও কেনই বা দরিদ্রদের হাতে এই কঠিন সময়ে অন্তত টিকে থাকার মতো নগদ টাকাটুকু দিতে তাঁর সরকারের এমন অনীহা? নিজের বক্তব্যে এ দিন অবশ্য গরিব কল্যাণ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দাবি করেছেন, সবার আগে প্রান্তিক মানুষের পাশেই দাঁড়িয়েছে তাঁর সরকার।

অন্য একটি অনুষ্ঠানে, ধর্মচক্র দিবসের উদ্বোধনে মোদী বলেন, সারা বিশ্ব বিভিন্ন রকমের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তার মোকাবিলায় বুদ্ধের আদর্শ সামনে রাখা জরুরি।

অন্য বিষয়গুলি:

Digital Books Narendra Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE