সোমবার দিল্লিতে এক ভিডিয়ো অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী। পিটিআই
রাজধানীকে ঘিরে কৃষকদের আন্দোলন এক মাস অতিক্রান্ত। কেন্দ্রের সঙ্গে ‘সংযুক্ত কৃষক মোর্চা’-র সংঘাত এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দু’পক্ষের আসন্ন বৈঠকেও তা কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কৃষি সংস্কারের জয়গান করলেন, একশোতম কিসান রেলকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শালিমার পর্যন্ত কৃষিপণ্য বোঝাই ট্রেনটির যাত্রা শুরু করিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর বক্তৃতায় বাংলার চাষিদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি সম্পর্কে আশার বাণী শুনিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মোদীর বক্তৃতায় বাংলার অনুষঙ্গ এখন অবধারিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। বাংলার মনীষীদের উল্লেখ, নাম করে বা না-করে রাজ্য সরকারের সমালোচনা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ লাগাতার চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মঞ্চ থেকে কেন রাজনৈতিক আক্রমণ শানানো হচ্ছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। পাশাপাশি, মোদীর আক্রমণের জবাব দিতেও কসুর করছে না তারা।
আজ অবশ্য মমতা সরকারকে খোঁচা দেননি মোদী। কিন্তু বাংলারই যে এখন তাঁর কাছে পাখির চোখ, সুস্পষ্ট ভাবে সেই বার্তা দিয়ে বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে শাকসবজি, আলু, এঁচড়, বেগুনের ফলন খুবই ভাল। আনারস, লিচু, আম, কলার মতো ফলও খুব হয়। মিঠে এবং নোনা জলের মাছও কম কি! এ বার এই সমস্ত মাছ, আনাজ, ফল গোটা দেশের বাজারে পৌঁছবে।’’
প্রধানমন্ত্রীর এই ‘বাংলা বার্তা’ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কি বাংলা আতঙ্কে ভুগছেন। যে বক্তৃতায় দেন, তাতেই কেবল বাংলা বাংলা আর বাংলা! আজও তাই করেছেন। এখন মন দিয়ে শুনুন। আগে সব ক’টি কৃষক-বিরোধী আইন প্রত্যাহার করুন। তার আগে পর্যন্ত কৃষকদের নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করবেন না। ধন্যবাদ।’
এ দিন মোদী বলেন, “এত দিন দেশের এক প্রান্তের ফসল অন্য প্রান্তের বাজারে পৌঁছে দেওয়ায় সমস্যা হত। সড়কপথে খরচও ছিল বেশি।... এ বার পশ্চিমবঙ্গের কৃষক, পশুপালক, মৎস্যজীবীরা পুণে-নাগপুরের বাজারে পৌঁছবেন। আবার মহারাষ্ট্রের কৃষকেরা পৌঁছে যাবেন বাংলার বাজারে।” তিনি জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে চার মাস আগে কিসান রেল পরিষেবা শুরু করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে ১০০টি ট্রেন চলাচল করছে। প্রথমে সাপ্তাহিক হলেও এখন সপ্তাহে তিন দিন করে এই ট্রেন চলছে। মোদীর মতে, কৃষকদের আত্মনির্ভর করতে ও তাঁদের আয় বাড়াতে কৃষিক্ষেত্রে একাধিক সংস্কার করা হচ্ছে। কৃষক উড়ানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy