তৃণমূলের সমর্থন পেল বিজেপি। কিন্তু তার পরেও পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) বিল নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না নরেন্দ্র মোদী সরকারের। এই সংবিধান সংশোধনী বিলটিকেও সংসদের স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি তুলেছে কংগ্রেস। একই দাবি এডিএমকে ও বিজু জনতা দলের। লোকসভায় সেই দাবি খারিজ হয়ে গেলেও রাজ্যসভায় একই দাবিতে অনড় থাকবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, লোকসভায় সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে বিল পাশ করিয়ে নিতে পারে। কিন্তু সে সময় লোকসভা থেকে ‘ওয়াক-আউট’ করে প্রতিবাদ জানাবে কংগ্রেস। আর রাজ্যসভায় গেলে তখন ফের বিলটিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলা হবে। সেখানে এনডিএ-র গরিষ্ঠতা নেই।
লোকসভায় আজ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বিরোধীদের বলেন, ‘‘আমি প্রার্থনা জানাচ্ছি, জিএসটি বিল পাশ করিয়ে দিন।’’ তাঁর যুক্তি, বিলটিকে স্থায়ী কমিটিতে পাঠাতে সরকারের কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু তাতে এতটাই দেরি হয়ে যাবে যে, ২০১৬-র ১ এপ্রিল থেকে জিএসটি চালু করা যাবে না। তা ছাড়া, এই বিল নিয়ে আগেও স্থায়ী কমিটিতে ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের ‘এমপাওয়ার্ড’ কমিটিতে দীর্ঘদিন আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেসের পাল্টা যুক্তি, সে’টি ছিল পুরনো বিল। এখন মোদী সরকার নতুন বিল নিয়ে এসেছে। জিএসটি নিয়ে কংগ্রেসের নীতিগত কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু নতুন বিল নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হওয়া উচিত।
লোকসভায় যাতে সংবিধান সংশোধনী বিলটি পাশ করাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু আজ এনডিএ-র শরিক ও সরকারের সমর্থনকারী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। অন্য পক্ষে কংগ্রেসের সাংসদদের সঙ্গে সন্ধেয় বৈঠক করেন সনিয়া গাঁধী। দলীয় সূত্রের খবর, জিএসটি শুধু নয়, সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রেই সরকারকে চাপে রাখতে তৎপর কংগ্রেস। সনিয়া গাঁধী আগামী কাল লোকসভায় দুর্নীতি দমনের ব্যাপারে মোদী সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন বা কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার শীর্ষপদ শূন্য রেখে দিয়ে কী ভাবে দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে এগোনো সম্ভব, সেই প্রশ্ন তুলবেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
জিএসটি বিল নিয়ে তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেডিকেও পাশে টানার চেষ্টা চালান জেটলি। তাদের তিনি বোঝান, ‘‘জিএসটি চালু হলে প্রথম দিন থেকেই পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার মতো রাজ্যগুলি লাভবান হবে। কারণ এই রাজ্যগুলিতে পণ্য উৎপাদনের তুলনায় কেনা হয় বেশি।’’ তবে বিজেডি নরম হয়নি। তামিলনাড়ুর আর্থিক ক্ষতি হবে, এই যুক্তিতে এডিএমকেও বিলটির বিরোধিতা করছে।
তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় বলেন, ‘‘আমরা বিলকে সমর্থন করছি। কিন্তু জিএসটি চালুর পরে পাঁচ বছর পর্যন্ত রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতি হলে তা কেন্দ্র মিটিয়ে দেবে, এই প্রতিশ্রুতি সংবিধান সংশোধনী বিলেই রাখার অনুরোধ করছি। কেন্দ্রীয় বিক্রয় করের ক্ষতিপূরণ বাবদ পশ্চিমবঙ্গের পাওনা ৪৪৮৩.২৯ কোটি টাকা। রাজ্য পেয়েছে ৫৪০ কোটি টাকা। বাকিটাও মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy