শেষ পর্যন্ত মিলল না মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মতো ‘মুখ’। তাই আপাতত নরেন্দ্র মোদীর মুখকে সামনে রেখেই মণিপুরে দীর্ঘ কংগ্রেস শাসনে ইতি টানার লড়াইয়ে নেমেছে বিজেপি। ভোটে জিতলে দলের বিধায়করাই ঠিক করবেন তাঁদের নেতা, মুখ্যমন্ত্রী।
তিন বারের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহের বিরুদ্ধে এ বার কোমর বেঁধে লড়তে নেমেছে বিজেপি। অসম, অরুণাচল, নাগাল্যান্ড (জোট শরিক) দখল করার পরে এ বার মণিপুর-বিজয়ই নর্থ-ইস্টার্ন ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (নেডা) লক্ষ্য। কিন্তু প্রথম থেকেই তাঁদের সমস্যা ছিল নেতৃত্বের। ইবোবিকে টক্কর দেওয়ার মতো সম-মাপের কোনও নেতার অভাব রয়েছে তাঁদের। কংগ্রেস ছেড়ে এন বীরেন, ওয়াই এরাবত, ফ্রান্সিস গাজাকপাদের মতো প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীরা বিজেপিতে এলেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মতো প্রার্থী তাঁরা নন। বিজেপির হয়ে লড়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন মেরি কম এবং শর্মিলা চানুও।
মণিপুরীদের কাছে সেনাপতির মুখ, তাঁর ভাবমূর্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত বারের নির্বাচনে ঝটিকা সফরে এসেই বাজিমাৎ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বার লড়তে নামা তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদাও পায়। মমতার ভাবমূর্তিকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল প্রচার করেছিল, তিনিও উপজাতিদেরই প্রতিনিধি। কিন্তু এ বার সেই তৃণমূলও নেই, নেই আগের নেতা-নেত্রীরাও। খোদ তৃণমূল সভানেত্রী কিম গাংতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ দিকে, ইরম শর্মিলা চানুরা লড়ছেন মাত্র চারটি আসনে। তাই এ বারের মূল লড়াই কংগ্রেস বনাম বিজেপির।
৬০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবিতে দলে চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভেবেচিন্তে দেখেছেন, অসমের মতো মণিপুরে আগেভাগে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলে দলের ভার কমতে পারে। তাই অসমে যে ভাবে সর্বানন্দ সোনোয়ালকে সামনে রেখে বিজেপি লড়েছে, মণিপুরে তা হবে না। সেখানে আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখকেই। ভোটারদের কাছে বিজেপির দাবি হবে, নরেন্দ্র মোদীকে দেখেই ভোট দিন। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি কাঙলা দুর্গে জনসভা করতে আসছেন নরেন্দ্র মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy