প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।
নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশ উত্তাল। চারটি শ্রম বিধিকেও নিশানা করছেন বিরোধীরা। এই অবস্থায় পাল্টা রাজনৈতিক আক্রমণেই সমালোচনার চাপ আলগা করতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, কৃষি ও শ্রম বিল নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা। তারা বরাবরই ফাঁকা প্রতিশ্রুতিতে ভোট-বাক্স ভরে কৃষক ও শ্রমিকদের ধোঁকা দিয়েছে। সংসদে সদ্য পাশ হওয়া বিলের সুফল সকলকে সহজ করে বোঝাতে সারা দেশের বিজেপি কর্মীদের মাঠে নামার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে খাটিয়ায় বসে ছোট-ছোট সভা করতে হবে। আবার হাত ধরতে হবে প্রযুক্তিরও।
বিরোধীরাও অবশ্য পাল্টা বিঁধছেন মোদীকে। তাঁদের বক্তব্য, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) পক্ষে সওয়াল করলেও, এখন কর্পোরেট-স্বার্থে তা বলবৎ করতে নারাজ তাঁর সরকার। আর নতুন শ্রম বিধির জেরে যে অবাধ ছাঁটাইয়ের রাস্তা মসৃণ হবে, ভুলেও সে কথা মুখে আনছেন না তিনি।
শুক্রবার দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভিডিয়ো-বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বিজেপি কর্মীদের বলেন, “দরিদ্র, কৃষক, মজুরদের নামে বার বার লম্বা-চওড়া ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, তা নেহাতই ফাঁপা।… কিছু লোক দেশ ও দশের বদলে শুধু নিজেদের ভালটুকু দেখেছেন।… চাষি, মজুরদের নামে সরকার হয়েছে। কিন্তু চাষিদের আয় বাড়েনি। উল্টে ধারের বোঝা বেড়েছে।” মোদীর দাবি, তাঁর সরকার মান্ডির পাশাপাশি বাজারে কৃষিপণ্য বিক্রির সুবিধা করে দেওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের স্বার্থে চাষিদের বিভ্রান্ত করছেন এঁরা। সকলের জন্য ন্যূনতম বেতন, সামাজিক সুরক্ষা, সরল শ্রম আইনের বিরুদ্ধেও তাঁরা প্রতিবাদে মুখর। বিজেপি কর্মীদের এই সব প্রচারের মোকাবিলা করতে বলেন মোদী। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর অবশ্য কটাক্ষ, “চাষিকে স্বাধীনতা দেওয়ার নামে ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন’ ফেরাতে চায় মোদী সরকার। তড়িঘড়ির জিএসটি ছোট-মাঝারি শিল্পের কোমর ভেঙে দেওয়ার পরে, এ বার চাষিদের পরাধীন করবে নতুন কৃষি আইন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy