জম্মুতে ফের বন্ধ টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। ছবি: সংবাদসংস্থা
শনিবারই ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা আংশিক ভাবে ফিরেছিল জম্মুতে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হল সেখানকার পাঁচটি জেলায়। জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, উধমপুর, রিয়াসি এলাকায় ২জি ইন্টারনেট এবং টেলিফোন পরিষেবা আপাতত বন্ধ। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়া এবং বিক্ষোভ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
১৪ দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরেকঠোরনিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি রয়েছে।বিধিনিষেধের কড়াকড়ি টেলিফোন ইন্টারনেট নিয়েও। তবে খুব বড় আকারের কোনও সংঘর্ষ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস ও ইদের অনুষ্ঠান উপত্যকায় সম্পন্ন হওয়ার পরেই প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গোটা উপত্যকায় ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ তোলা হবে। বেশ কিছু জায়গায় শিথিল হয় কার্ফু। শনিবার ওই পাঁচটি জেলায় ২জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়, চালু হয় টেলিযোগাযোগও। কিন্তু সন্ধে থেকেই জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। সরকারি মুখপাত্র রোহিত কানসালের বয়ান অনুযায়ী, ছয় জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে শুধু শনিবারই। পুলিশ এবং বিক্ষুব্ধ জনতার থণ্ডযুদ্ধে আহতও হয়েছে আট জন। উপত্যকার নানা হাসপাতালগুলিতে ভর্তি রয়েছেন এই আহত নাগরিকরা। প্রশাসনের অনুমান, নেট পরিষেবা চালু হতেই সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তার জেরেই এই হিংসার ঘটনা ঘটছে। ফলে উত্তেজনা রুখতেই যোগাযোগের ক্ষেত্রে ফের বিধিনিষেধ আরোপেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে দিনের আলোয় সাংবাদিক খুন, সাহারানপুরে তোলপাড়
আরও পড়ুন: অকালেই স্তব্ধ হয়ে গেল ‘তেজস্বিনী’ সঞ্চালিকা নীলম শর্মার কণ্ঠ
এ দিন হজ সেরে শ্রীনগর বিমানবন্দরে ফিরেছে প্রায় ৩০০ তীর্থযাত্রী। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। প্রশাসনিক মহলের মত, হাজিদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি সরকার। বিমানবন্দরে এই তীর্থযাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের ঢুকতে দেওয়া হয় পরিচয়পত্র দেখে। জেলা প্রশাসনের তরফে বাসের বন্দোবস্ত করা হয়।
১৪ দিন থমকে থাকা জনজীবনকে স্বাভাবিক করে তোলা খুব সহজ নয়। একটু একটু করে উপত্যকা সচল করতে চাইছে প্রশাসন। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবারই ১৯০ টি স্কুল খুলে দেওয়া হবে শ্রীনগরে। শিশুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই স্কুল-সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তামোতায়েন করা হচ্ছে। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ এ দিন সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘এখন আমাদের মূল লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে চাপে রাখা। সাধারণ কাশ্মীরী যুবকদের যেন কোনও ভাবেই তারা ভুল পথে চালনা না করতে পারে, সেদিকেই নজর রাখছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy