Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

বন্ধুকে হত্যার পর অপহরণের নাটক

ডেটিং অ্যাপে পরিচয় হওয়া বন্ধুর হাতে খুন হলেন দিল্লির এক ছাত্র আয়ুষ নওটিয়াল (২১)। বৃহস্পতিবার দিল্লির দ্বারকা, সেক্টর ১৩ অঞ্চলের একটি নর্দমা থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। আয়ুষ দিল্লির রামলাল আনন্দ কলেজের ছাত্র ছিল। আয়ুষকে খুন করার অভিযোগে ইশতিয়াক নামে বছর পঁচিশের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৮ ০৩:১৬
Share: Save:

ডেটিং অ্যাপে পরিচয় হওয়া বন্ধুর হাতে খুন হলেন দিল্লির এক ছাত্র আয়ুষ নওটিয়াল (২১)। বৃহস্পতিবার দিল্লির দ্বারকা, সেক্টর ১৩ অঞ্চলের একটি নর্দমা থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। আয়ুষ দিল্লির রামলাল আনন্দ কলেজের ছাত্র ছিল। আয়ুষকে খুন করার অভিযোগে ইশতিয়াক নামে বছর পঁচিশের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ২২ মার্চ আয়ুষকে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে সে।

একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ইশতিয়াক ও আয়ুষের পরিচয় হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। দু’জনে গত দশ দিনে মোট তিন বার দেখা করেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে অভিযুক্ত। শেষ বার ২২ মার্চ দেখা করেন দু’জনে। সে দিন তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় যা কিছু ক্ষণের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। তার পরই রাগের মাথায় ইশতিয়াক হাতু়ড়ি দিয়ে বেশ কয়েক বার আয়ুষকে আঘাত করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২২ মার্চ বেলা এগারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরনোর আগে আয়ুষ বলে যায় যে তাঁর কলেজে ফেস্ট থাকায় ফিরতে একটু দেরি হবে। অনেক রাত অবধি ছেলে বাড়ি না ফেরায় আয়ুষকে ফোন করে তাঁর বাড়ির লোক। কিন্তু ফোনটি বন্ধ থাকায় আয়ুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁরা। তবে কিছু ক্ষণ বাদে আয়ুষের নম্বর থেকেই একটি হোয়াট্সঅ্যাপ আসে। যেখানে জানানো হয় যে আয়ুষকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকাও দাবি করা হয়। সঙ্গে একটি ছবিও পাঠানো হয়, যেখানে দেখা যায় আয়ুষের মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা এবং তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তের দাগ। বলা হয়, মুক্তিপণ না দিলে আয়ুষকে খুন করা হবে।

জেরায় ইশতিয়াক স্বীকার করে, পুলিশ এবং আয়ুষের পরিবারকে ভুল পথে চালিত করার জন্যই অপহরণের ঘটনাটি সাজিয়েছিল সে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আয়ুষ সেদিন দ্বারকা, সেক্টর ১৪ অঞ্চলের একটি রেস্তরাঁয় গিয়েছিল। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। দেখা যায় সে দিন ফ্যাশন ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রের সঙ্গে গিয়েছিল আয়ুষ। তার পর সেই ইনস্টিটিউট থেকে তার পরিচয় বের করে পুলিশ। কিন্তু বার বার নিজের লোকেশন বদলে ফেলায় তাকে বাগে পেতে বেশ কসরত করতে হয়েছে পুলিশকে। শেষে বৃহস্পতিবার উত্তম নগর অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ইশতিয়াককে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy