মল্লিকার্জুন খড়্গে। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত দেশের সৈনিক স্কুলগুলির বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। আর সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষরের সময় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বিজেপি কিংবা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-র সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিকে! সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন যে, “সৈনিক স্কুলগুলির রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা হচ্ছে।” যদিও কংগ্রেসের এই অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনও রাজনৈতিক বা আদর্শগত প্রভাব পড়ছে না।
২০২১ সালে সৈনিক স্কুলগুলিকে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগ বা পিপিপি মডেলে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। খড়্গে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে দাবি করেছেন, কেন্দ্র বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে যে ৪০টি মউ স্বাক্ষর করেছে, সেগুলির ৬২ শতাংশ ক্ষেত্রেই রয়েছে বিজেপি, আরএসএস এবং সঙ্ঘ পরিবার প্রভাবিত সংগঠন কিংবা ব্যক্তি। এমনকি ওই তালিকায় এক মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার, বিজেপির কিছু বিধায়ক, আরএসএস নেতাও রয়েছেন বলে দাবি করেছেন খড়্গে।
কংগ্রেস এ ক্ষেত্রে অস্ত্র করছে তথ্যের অধিকার আইন (আরটিআই)-এ একটি অন্তর্তদন্তমূলক প্রতিবেদনকে। তাই ‘জাতীয় স্বার্থে’ কেন্দ্রের কাছে এই বেসরকারিকরণের নীতি থেকে সরে আসার এবং মউগুলি বাতিলের দাবি তুলেছে তারা। খড়্গেদের দাবি, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত না বদলালে সৈনিক স্কুলগুলির সমন্বয়ী চরিত্র নষ্ট হবে। রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে লেখা দু’পাতার চিঠিতে খড়্গে লেখেন, “ভারতের গণতন্ত্রে সেনাবাহিনীকে যে কোনও ধরনের রাজনীতির বাইরে রাখা হয়। অতীতেও ভারত সরকার সেনাবাহিনী এবং তার অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলিকে যে কোনও রাজনৈতিক আদর্শের বাইরে রেখেছে।”
যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, “বাছাই প্রক্রিয়ায় আবেদনকারী সংস্থাগুলির রাজনৈতিক এবং আদর্শগত সংযোগ কোনও প্রভাব ফেলছে না।” কংগ্রেসের অভিযোগকে বিভ্রান্তিকর বলেও দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy