Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
COVID-19

কোভিড মোকাবিলায় বিদেশি সাহায্যের বিলিবণ্টন কী ভাবে, মুখে কুলুপ মন্ত্রকগুলির

কোন এজেন্সিকে সে সব বিলিবণ্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বা হবে, তা নিয়ে কোনও সরকারি কর্তা যেমন মুখ খুলছেন না, তেমন কোনও ওয়েবসাইটও নেই যেখান থেকে এই সব তথ্য পাওয়া সম্ভব।

- ফাইল ছবি।

- ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২১ ১৩:৪৭
Share: Save:

আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স-সহ বিশ্বের ১৪টি দেশ থেকে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি ডলার এসে পৌঁছেছে ভারতে। পৌঁছে গিয়েছে বিপুল পরিমাণে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, সিলিন্ডার, এন-৯৫ মাস্ক, ভেন্টিলেটর, পাল্‌স অক্সিমিটার, ওষুধ ও কোভিড চিকিৎসায় অত্যাবশ্যক সরঞ্জাম। কিন্তু সে সবের বিলিবণ্টন কী ভাবে হবে, কারা তার দায়িত্বে থাকবে, রাজ্যগুলি কী কী পরিমাণে সে সব পাবে, সেই পরিমাণ কী ভাবে নির্ধারিত হবে, সে ব্যাপারে কেন্দ্রের কোনও মন্ত্রকের কাছ থেকেই সদুত্তর মিলছে না। হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলি নিজেরাই রয়েছে ধোঁয়াশায়, অথবা সংবাদমাধ্যমগুলির কাছে এখনই তারা এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইছে না। এই নিয়ে আমেরিকাতেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে বৃহস্পতিবার রীতিমতো অপ্রস্তুত হয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে আমেরিকার বিদেশ দফতরের উপ মুখপাত্র জালিনা পোর্টারকেও।

কোন এজেন্সিকে সে সব বিলিবণ্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বা হবে, তা নিয়ে কোনও সরকারি কর্তা যেমন মুখ খুলছেন না, তেমন কোনও ওয়েবসাইটও নেই যেখান থেকে এই সব তথ্য পাওয়া সম্ভব। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরকারি কর্তারা একে অন্যকে দেখিয়ে দিচ্ছেন। কেউ বলছেন, এই সব জানাতে পারবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, বিষয়টি বিদেশমন্ত্রকের এক্তিয়ারে।

আবার এক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্তা বলেছেন, ‘‘যে কোনও বিদেশি সাহায্য প্রথমে আসে ভারতীয় রেডক্রসের হাতে। যা পরে বিদেশমন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে দেশের মধ্যে বিলিবণ্টনের জন্য সেই সব পৌঁছয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে।’’

এও শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় পরিবহণ সচিবের নেতৃত্বে একটি ‘এমপাওয়ার্ড গ্রুপ’ রয়েছে যারা এই বিলিবণ্টনের বিষয়টি তদারক করে। কিন্তু সেই গ্রুপও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিদেশ দফতরের উপ মুখপাত্র জালিনা পোর্টারকে প্রশ্ন করেন সে দেশের সাংবাদিকরা। তাঁরা বলেন, ‘‘আমেরিকার জনগণের দেওয়া আয়করের অর্থেই ওই সব সাহায্য পাঠানো হয়েছে ভারতে। কিন্তু তার সঠিক বিলিবণ্টন হচ্ছে কি না ভারত থেকে তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন কি এ ব্যাপারে কিছু জানে?’’

দৃশ্যতই অপ্রস্তুত পোর্টারকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা এ ব্যাপারে ভারতের কোনও সরকারি ওয়েবসাইট থেকে কোনও তথ্য পাইনি। আশা করছি, সঠিক ভাবে বিলিবণ্টন হবে। কোভিড সমস্যার মোকবিলায় আমরা নানা ভাবে আরও সাহায্য করব ভারতকে।’’

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘যতটুকু জানি, আগামী ৫ মে থেকে বিদেশি অক্সিজেন কনসেনট্রেটরগুলির বিলিবণ্টন শুরু হবে।’’

আর বিদেশি অর্থসাহায্যের বিলিবণ্টন? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র লাভ অগ্রবাল বলেছেন, ‘‘কোন দেশ থেকে কী পরিমাণে অর্থসাহায্য এসে পৌঁছেছে, তা জানা ও সেগুলির বিলিবণ্টনের চেষ্টা চলছে। এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy