Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Bangladesh Crisis

ব্রিটেনের বিদেশসচিবের সঙ্গে কথা এস জয়শঙ্করের, জানাল বিদেশ মন্ত্রক, তবে কি লন্ডনেই হাসিনা? জল্পনা

বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছেন শেখ হাসিনা। তিনি লন্ডনে যেতে চান বলে সূত্রের খবর। এখনও ব্রিটেন থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। ব্রিটেনের বিদেশ সচিবের সঙ্গে কথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৪ ১৭:১৩
Share: Save:

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেনের বিদেশসচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে কথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানানো হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকটি করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল। তিনি জানান, ব্রিটেনের বিদেশসচিবের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা আগে ফোনে কথা হয়েছে জয়শঙ্করের। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার ভারতে এসেছেন। এখনও তিনি দিল্লিতেই রয়েছেন। তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, এখনও তা ভারত সরকার জানে না, সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি জানান, এখনও হাসিনার পরিকল্পনা আমরা জানি না। তাঁকে ভাবনাচিন্তা করার সময় দেওয়া হয়েছে। এ কথা গত মঙ্গলবার সংসদে বলেছিলেন জয়শঙ্কর নিজেই।

শোনা যাচ্ছে, হাসিনা লন্ডনে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু ব্রিটেন থেকে এখনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি। তাঁর বোন রেহানা ব্রিটেনের নাগরিক। রেহানার কন্যা টিউলিপ সেখানকার ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সাংসদ। তাই হাসিনা যে লন্ডনেই যাবেন, সেই সম্ভাবনা বেশি। জল্পনার মাঝেই ব্রিটেনের বিদেশসচিবের সঙ্গে কথা বললেন জয়শঙ্কর। হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু জানাননি রনধীরও।

তবে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। রনধীর বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের অবস্থার দিকেও নজর রেখেছে ভারত। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অনেক গোষ্ঠী এবং সংগঠন এগিয়ে এসেছে।’’

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘‘যে কোনও দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্য। বাংলাদেশে দ্রুত শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে আমরা আশা করছি। সেই দেশ এবং বৃহত্তর ক্ষেত্রেও তা স্বস্তির।’’

বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার রাতে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার কথা। সে সরকারের প্রধান হবেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। নতুন সরকার গঠিত হলে সেই সরকারের সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইবে ভারত। রনধীর বলেন, ‘‘বাংলাদেশে গত সোমবার থেকে যা যা ঘটেছে, প্রতি মুহূর্তের বিশ্লেষণ আমরা করছি। দেখা যাক কী হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE