ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণ কাশ্মীরে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে বাহিনীর অভিযান। ফলে জঙ্গিরা উত্তর কাশ্মীরে পালিয়ে আসছে বলে দাবি সেনা ও পুলিশের। তাদের খোঁজে উত্তর কাশ্মীরেও ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। সম্প্রতি ‘কাশ্মীরের তোরা বোরা’ বলে পরিচিত বাদগামের পাখরপোরাতেও বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে চার জইশ জঙ্গি।
সেনা অফিসারদের দাবি, গ্রীষ্মে দক্ষিণ কাশ্মীরের বড় বড় বাগিচা ও নির্মীয়মাণ বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছিল জঙ্গিরা। স্থানীয় মানুষের একাংশের সাহায্যও পাচ্ছিল তারা। কিন্তু এখন তাদের পক্ষে ওই এলাকায় থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে উত্তর কাশ্মীরে পালিয়ে আসছে তারা। সেনার ‘কিলো ফোর্স’-এর কম্যান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল এ কে সিংহের মতে, উত্তর কাশ্মীরের শালবাটু, জুমগুন্দ, লোলাব, রামহল, হাফরুদা, জাচালদারা, দারিয়েনগার্দির মতো এলাকার জঙ্গলে ক্রমাগত তল্লাশি চলছে।
সেনা অফিসারদের দাবি, মধ্য কাশ্মীরের বাদগামের পাখরপোরা এলাকা হয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তর কাশ্মীরে যাতায়াত করে জঙ্গিরা। গোয়েন্দাদের মতে, ওই এলাকার গভীর জঙ্গল অনেকটা আফগানিস্তানের তোরা বোরার গুহার মতোই। ওই গুহার গোলকধাঁধায় দীর্ঘ দিন আত্মগোপন করেছিলেন আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন।
আরও পড়ুন: চাবাহারে সুবিধায় ভারত
কাশ্মীরে সাম্প্রতিক অশান্তির সময়ে বাদগামের পাখরপোরায় দীর্ঘ দিন অভিযান চালাতে পারেনি বাহিনী। বস্তুত গত বছরে বেশ কয়েক মাস গোটা দক্ষিণ কাশ্মীরেই সন্ত্রাস-দমন অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি পাখরপোরাতেও অভিযান চালিয়ে চার জইশ জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা ও পুলিশ। সেনা অফিসারেরা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা এখন পাহাড়ি রাস্তার বদলে জনপথই ব্যবহার করছে। পাখরপোরায় একটি ধর্মস্থান আছে। সেখানে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। সেই ভিড়ে জঙ্গিদের চিহ্নিত করা অনেক সময়ে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ওই এলাকার রাস্তায় ব্যারিকেড বসানোর প্রস্তাব দিয়েছিল সেনা। কিন্তু রাজ্য সরকার রাজি হয়নি। তবে ওই এলাকায় একটি ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন করেছে সেনাবাহিনী। পাখরপোরার কাছেই একটি শিবিরও তৈরি হয়েছে। এলাকাটি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার বীরওয়াহা কেন্দ্রের অন্তর্গত। গোয়েন্দাদের মতে, পাখরপোরার আশপাশে কুজওয়েরা, মাগরেপোরা, বেহরামপোরা, কাইসেমুল্লার মতো গ্রামে এখনও জঙ্গিদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy