—প্রতীকী চিত্র।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অশান্তির আঁচ পড়ল রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন নয়ডা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। কখনও ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে দিল্লির রাস্তায় কয়েক জন লোককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল একদলের উপরে। কখনও নয়ডায় একের পর এক ঝুপড়ি ভেঙে সেখানকার বাসিন্দাদের মারধর। শুক্রবার থেকে এই ধরনের একাধিক হামলার ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। নেটিজেনদের প্রশ্নের মুখে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঠিক কোথায় ঘটেছে, তার তদন্ত শুরু করেছে তারা।
একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দিল্লির রাস্তায় লাঠি হাতে কয়েক জন নিরস্ত্র মানুষদের উপরে চড়াও হচ্ছে একদল দুষ্কৃতী। তাদের মারধর করার পাশাপাশি গালাগাল করে এলাকা ছাড়ার হুমকিও দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বাংলাভাষীদের ওই জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী। এক আক্রমণকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “বাংলাদেশে আমাদের সংখ্যালঘু মা-বোনেদের ধর্ষণ করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক জেলা থেকে প্রতি বছরই বহু মানুষ কাজের সূত্রে দিল্লি এবং উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় যান। গত কয়েক বছর ধরেই এই পরিযায়ীদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ একাধিক বার উঠেছে বিজেপি ও তাদের বিভিন্ন সংগঠনের বিরুদ্ধে। গত কয়েক দিনের একাধিক ঘটনায় এই সব বাঙালিরাই মূলত ‘বাংলাদেশি নাগরিক’ সন্দেহে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। গোটা ঘটনার পিছনে ‘হিন্দু রক্ষা দল’-সহ কয়েকটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন যুক্ত বলে অভিযোগ উঠলেও পুলিশ এখনও কাউকেই আটক করেনি। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় এক হামলাকারীর কথা বিশেষ করে আলোচনায় উঠে এসেছে। দক্ষ চৌধরি নামে ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে লোকসভা ভোটের প্রচারপর্বে কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমারকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল। তখনও পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই এই ধরনের দুষ্কৃতীদের আটক করে না পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy