তলহা সইদ ও হাফিজ সইদ। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে ৩১ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সঈদকে। এ বার তার পুত্র হাফিজ তলহা সইদকে ‘জঙ্গি’ ঘোষণা করল ভারত। শুক্রবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা নোটিসে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) অনুযায়ী জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার নেতা হাফিজ মহম্মদ সঈদের ছেলেকে ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদী’ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
৪৬ বছরের তলহাও লস্করের সামাজিক সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার নেতা। জামাত নিষিদ্ধ হওয়ার পরে মিল্লি মুসলিম লিগ সংগঠনের নামে কাজ করেন তলহা এবং তাঁর অনুগামীরা। লাহৌরের বাসিন্দা হাফিজ-পুত্রও ২৬/১১-র ঘটনায় তিনিও যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে নিয়মিত অংশ নিতেন। আফগানিস্তানের ভারতীয় ঠিকানাগুলিতে হামলা চালানোর জন্য পাক-আফগান সীমান্তে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলেছিলেন বলেও অভিযোগ ভারতের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতি বলছে, শুধু ভারত নয় বিভিন্ন দেশে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য প্রশিক্ষণ দিতেন তলহা।
প্রসঙ্গত, লস্করের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজকে শুক্রবার দু’টি মামলায় ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন আদালত। তাঁর যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তিন লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেয় পাক আদালত। পাশাপাশি, হাফিজ যে মাদ্রাসা এবং মসজিদ নির্মাণ করেছেন, তা-ও নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পাক সরকারকে।
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২০ সালে হাফিজকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া সংক্রান্ত একটি আর্থিক মামলায় সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালত ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে তাঁর এই বন্দিদশা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। ‘গৃহবন্দি’ অবস্থাতেও তিনি বছরের পর বছর অবাধে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন, ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে ২০২০ সালেও দু’দফায় পাকিস্তানের আদালত ১১ বছরের জেলের সাজা দিয়েছিল হাফিজকে। তার আগে ২০১৯ সালে সংশোধিত (ইউএপিএ) আইন অনুযায়ী চার জনকে ‘ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট’ বা ‘সন্ত্রাসবাদী ব্যক্তিত্ব’ ঘোষণা করছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দাউদ ইব্রাহিম, জাকিউর রহমান লকভি, মাসুদ আজহারের পাশাপাশি সেই তালিকায় ছিল হাফিজ সইদের নাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy