রাস্তার পাশে দাঁড় করানো পুলিশের গাড়িতে হেলান দিয়ে বসেছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি। কেন হেলান দিয়ে বসেছেন, সেই প্রশ্ন তুলে ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল দুই হোমগার্ড এবং দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বিহারের কাটিহারের।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই এলাকাতেই ঘুরে বেড়ান আক্রান্ত ব্যক্তি। বুধবার রাস্তার পাশে দাঁড় করানো ছিল পুলিশের একটি গাড়ি। পুলিশকর্মীরা একটু দূরেই ছিলেন। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি গাড়ির কাছে আসেন। তার পর গাড়িতে হেলান দিয়ে বসে পড়েন। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে থাকা এক হোমগার্ডের নজরে পড়ে বিষয়টি। তিনি তেড়ে আসেন।
ওই হোমগার্ডের সঙ্গে আরও এক হোমগার্ড এবং দুই পুলিশকর্মীও আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়িতে কেন হেলান দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন ওই ব্যক্তিকে। তিনি কিছু উত্তর দেওয়ার আগেই শুরু হয় মারধর। অভিযোগ, রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে আপাদমস্তক পেটানো হয় ওই ব্যক্তিকে। তাতেও দমেননি পুলিশকর্মীরা। তার পরেও ওই ব্যক্তিকে হিঁচড়ে নিয়ে যান। পুলিশকর্মীদের এই তাণ্ডবের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জোরালো হতে শুরু করেছে। কাটিহারের পুলিশ সুপার বৈভব শর্মা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত এএসআই কেদারপ্রসাদ যাদব এবং কনস্টেবল প্রীতি কুমারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দুই হোমগার্ডের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে।