দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে রবিবার পথে নামছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। রাজধানীর রাস্তায় ‘মেগা র্যালি’র ডাক দিয়েছে তারা। লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘ইন্ডিয়া’র শক্তি প্রদর্শনের মিছিল হিসাবে দেখা হচ্ছে এই কর্মসূচিকে। বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব মিছিলে থাকবেন। বিরোধী জোটের রবিবারের মিছিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ মিছিল।
দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে রবিবার সকালে ‘ইন্ডিয়া’র মিছিল শুরু হবে। মিছিলে থাকবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, সমাজবাদী পার্টির সর্বময় নেতা অখিলেশ যাদব, বিহারের তেজস্বী যাদব প্রমুখ। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুখ আবদুল্লাও রবিবারের মিছিলে থাকবেন। এ ছাড়া দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টির (আপ) শীর্ষ নেতৃত্বও বিরোধী জোটের এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কেজরীওয়ালের স্ত্রী সুনীতাও রবিবার ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ মিছিলে হাঁটতে পারেন।
‘ইন্ডিয়া’র মিছিলকে কেন্দ্র করে শনিবার থেকেই রাজধানীর নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশি প্রহরা। মোতায়েন করা হয়েছে আধাসেনাও। রাজধানীর বেশ কিছু রাস্তায় রবিবার যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির পর থেকেই রাজধানীর রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে আছে। আপের তরফে প্রায় প্রতি দিনই কোনও না কোনও কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। নেতার গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মিছিলে দিল্লির রাস্তা রোজ উত্তপ্ত হচ্ছে। তার মধ্যে বিরোধী জোটের তাবড় নেতাকে নিয়ে রবিবারের কর্মসূচি আক্ষরিক অর্থেই ‘মেগা’ হয়ে উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, তাই বাড়তি সতর্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুলিশ। রামলীলা ময়দানের বাইরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আপের অভিযোগ, তাদের প্রতিবাদ আটকাতে শাহ দিল্লিকে একটি দুর্গে পরিণত করেছেন।
মিছিলের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি ইতিমধ্যেই নিয়েছে আপ। ২০ হাজার লোককে নিয়ে মিছিল করার অনুমতি মিলেছে।
গত ২১ মার্চ রাতে আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় কেজরীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ওই মামলায় তাঁকে এর আগে ন’বার সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রতি বারই হাজিরা এড়িয়েছেন। ২১ তারিখ ছিল নবম হাজিরার দিন। ইডি দফতরে না গিয়ে কেজরী রক্ষাকবচের জন্য দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এর পর রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যান ইডির আধিকারিকেরা। ঘণ্টা দুয়েকের তল্লাশির পর কেজরীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কেজরী ইস্তফা দেননি। তিনিই দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছেন। আপ জানিয়েছে, হেফাজতে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন তাঁদের নেতা। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের আগে কেজরীকে গ্রেফতার করে বিজেপি বিরোধী দলগুলির প্রচারে বাধা দিতে চাইছে। এতে তারা কাজে লাগাচ্ছে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও অন্য একটি মামলায় কিছু দিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি অবশ্য গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy