Meet Vidhyadharan Narayan of Chennai who earns 80,000/month from microgreens! dgtl
National news
শাকপাতা চাষ করে মাসে ৮০ হাজার টাকা আয় করেন চেন্নাইয়ের এই ব্যক্তি!
এই স্যালাডের শাকপাতার উপর ভর করেই খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মাসে ৮০ হাজার টাকা আয় করছেন এই ব্যক্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০ ১২:৩২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
স্যালাডকে এখন আর নিছক 'সাইড ডিশ' বলা যায় না। মেন কোর্সেও ঢুকে পড়েছে বিভিন্ন ধরনের স্যালাড। তা যেমন সুস্বাদু এবং পুষ্টিকরও। এই স্যালাডের শাকপাতার উপর ভর করেই খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মাসে ৮০ হাজার টাকা আয় করছেন এই ব্যক্তি।
০২১৬
চেন্নাইয়ের ওই ব্যক্তির নাম বিদ্যাধরন নারায়ন। লেটুস, আলফা-আলফা শাক চাষ করেই এই মূহূর্তে তিনি বড় ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন। তাঁর সংস্থার নাম দিয়েছেন ‘শাখি মাইক্রোগ্রিনস’। কী ভাবে এমন চাষের কথা মাথায় এল তাঁর? কী ভাবেই বা এত লাভ করছেন তিনি?
০৩১৬
অফিসিয়ালি ২০১৮ সালে এই ব্যবসা শুরু করেন বিদ্যাধরন। কিন্তু তারও আগে, ২০১৪ সাল থেকে তিনি চাষাবাদ করতে শুরু করেছিলেন। সে সময় বিদ্যাধরনের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।
০৪১৬
খুব বেশি দূর পড়াশোনা করেননি তিনি। সইদাপেট-এর মডেল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে পাশ করার পর তিনি একটি রুরাল ইনফরমেশন এডুকেশন সেন্টারে ভর্তি হন। সেখানে দু'বছর প্রশিক্ষণ নেন।
০৫১৬
তারপর তামিলনাডু প্রাইমারি স্কুল ইমপ্রুভমেন্ট ক্যাম্পেন নামে একটি অসরকারি সংস্থায় যোগ দেন। টানা ১০ বছর এই সংস্থার সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। এর পর চার বছরের জন্য তামিলনাডুর অন্য একটি অসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন।
০৬১৬
চাষাবাদে কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না তাঁর। বাবাও ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। ফলে পরিবারেও যে চাষাবাদের চল ছিল, তেমনটা নয়। কিন্তু চাষাবাদের প্রতি একটা ঝোঁক বরাবরই ছিল বিদ্যাধরনের।
০৭১৬
এতদিনে চাকরি থেকে যা উপার্জন করেছিলেন, ২০১৪ সালে সেগুলো দিয়ে প্রথমে চেন্নাই থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে উথিরামেরুরে তিন লাখ টাকা দিয়ে দেড় একর জমি কেনেন।
০৮১৬
এর মাঝে আরও একটা কাজ করেছিলেন তিনি। চাকরি ছেড়ে নিজের একটি সংস্থা চালু করেন তিনি। নিজের সংস্থার নাম দেন ‘গ্রাসরুট ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ২০০৩’। এই সংস্থা মূলত শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করত।
০৯১৬
নিজের সংস্থা চালানোর ফাঁকেই তিনি কেনা জমিতে চাষাবাদও শুরু করেন। সময় করে সপ্তাহে অন্তত একবার ঘুরে আসতেন জমি থেকে। সেখানে কয়েকজন কৃষককে রেখে চাষের কাজ শুরু করেন তিনি।
১০১৬
প্রথমে পালা করে বর্ষায় ধান এবং ধান উঠে যাওয়ার পর শীতে বাদাম চাষ করতে শুরু করেন। কিন্তু প্রথম প্রথম হতাশই হয়েছিলেন বিদ্যাধরন। বিষয়টা যতখানি সহজ এবং লাভজনক মনে করেছিলেন, ততটা একেবারেই ছিল না।
১১১৬
বছরে ধান চাষ করে মাত্র তিন হাজার এবং বাদাম চাষ করে ২০ হাজার টাকা লাভ করেছিলেন। আর চাষাবাদে যা পরিশ্রম এবং টাকা ইনভেস্ট করেছিলেন, সেগুলো বাদ দিয়ে তাঁর বছরে লাভ হয়েছিল মাত্র ১০ হাজার টাকা।
১২১৬
সেটা ছিল ২০১১ সালের ঘটনা। প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় চাষাবাদই ছেড়ে দেন তিনি। তাঁর অসরকারি সংস্থাও ভাল চলছিল না। ২০১৩ নাগাদ তিনি এগুলো বন্ধ করে গাড়ির ব্যবসা শুরু করেন। সেটাও তেমন চলেনি।
১৩১৬
শেষে ২০১৪ সাল নাগাদ তিনি ফের চাষাবাদ নিয়ে কিছু একটা শুরু করার কথা ভাবেন। এ বার আর ধান-বাদাম নয়, কোকোপিট-ট্রে কিনে তার মধ্যেই শুরু করেন শাক-পাতা চাষ। এ বার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিজেরাই ১০ ফুট/ ১০ ফুটের একটি ঘরে চাষ শুরু করেন।
১৪১৬
সূর্যমুখী, গাজর, বিট, ব্রকোলি, বাঁধাকপি, আলফা-আলফা এবং সরষের চাষ শুরু করেন তিনি। ২০১৭ সালে এই সমস্ত ফসলের ক্রেতাও পেয়ে যান তিনি। ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন সুপারমার্কেটে সরবরাহ করতে শুরু করেন এগুলো।
১৫১৬
তবে পরে লেটুস, আলফা-আলফার চাহিদা জেনে অন্য সমস্ত চাষাবাদ ছেড়ে স্যালাডের উপযোগী এই মাইক্রোগ্রিনস চাষ করতে শুরু করেন তিনি। প্রথম প্রথম প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁয় ১২ কেজি করে শাক সরবরাহ করতে শুরু করেন। এখন ৫০ কেজি করে সরবরাহ করেন।
১৬১৬
চেন্নাইয়ের বাইরেও তাঁর ব্যবসার প্রসার ঘটেছে। প্রতি মাসে তাঁর আয় ৮০ হাজার টাকা!