ফুরফুরে মেজাজে বিয়ে করতে এসেছিলেন ২২ বছর বয়সি মহম্মদ আজ়িম। তিনি জানতেন, তাঁর পাত্রীর নাম মানতাশা। বয়স ২১। কিন্তু মৌলবি যখন বিয়ের সময় পাত্রীর নাম বলেন, তখন চমকে ওঠেন আজ়িম। ঘোমটা তুলে দেখেন মানতাশা নয়, কনের বেশে বসে রয়েছেন তাঁর মা তাহিরা! বিয়ের আসর থেকেই চম্পট দেন পাত্র। প্রায় সপ্তাহ খানেক পর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, বিয়ে করতে প্রতারিত হয়েছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের মেরঠের ব্রহ্মপুরীর বাসিন্দা আজ়িম। থানায় তিনি জানান, গত ৩১ মার্চ তাঁর বড় ভাই নাদিম বিয়ের প্রস্তাব আনেন। কাঁকেরখেরার ফজলপুরের বাসিন্দা মানতাশার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। সেই মতো গত সপ্তাহে বিয়ে করতে যান আজ়িম। কিন্তু মৌলবির কথায় হতবাক হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি যখন ঘোমটা তুলে দেখি কনের বেশে বিয়ের আসরে বসে রয়েছেন মানতাশার মা তাহিরা।’’
আজ়িমের দাবি, বিষয়টি বুঝতে পেরেই তিনি বিয়েতে আপত্তি তোলেন। তিনি সকলকে জানান এই কনেকে বিয়ে করতে পারবেন না। বাড়ি নিয়েও যাবেন না। আজ়িমের আপত্তিতে রেগে যান নাদিম। হুমকি দেন, যদি বিয়ে না করেন, তবে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। আইনি ঝামেলার ভয়ে সুযোগ বুঝেই পালিয়ে যান আজ়িম।
আরও পড়ুন:
গত বৃহস্পতিবার মেরঠের এসএসপি অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন আজ়িম। এসএসপি বিপিন তাদা বলেন, ‘‘প্রতারণার একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে। তদন্তের পর প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব আমরা।’’