সমাজমাধ্যমে কোনও পোস্টে ‘লাইক’ করা মানেই তা প্রকাশ করা বা ছড়িয়ে দেওয়া নয়। সম্প্রতি এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। সমাজমাধ্যমে একটি জমায়েতের ডাক দিয়ে পোস্ট করেছিলেন জনৈক এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী। ওই জমায়েতটিকে বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। পরে সমাজমাধ্যমের ওই পোস্টটির জন্য মামলা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ওই পোস্টটি ‘লাইক’ করার জন্যও এক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তবে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট জানিয়েছে, কোনও পোস্ট ‘লাইক’ করা এবং সেটি প্রকাশ করা বা ছড়িয়ে দেওয়া এক বিষয় নয়।
হাই কোর্টের বিচারপতি সৌরভ শ্রীবাস্তবের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যখন সমাজমাধ্যমে কোনও বিষয়বস্তু বা মেসেজ প্রকাশ করা বলতে বোঝায়, যখন সেটিকে ‘পোস্ট’ করা হচ্ছে। ওই পোস্টটি ‘শেয়ার’ বা ‘রিটুইট’ করলে, সে ক্ষেত্রে পোস্টটি ছড়়িয়ে দেওয়া হয়। তবে শুধুমাত্র কোনও পোস্ট ‘লাইক’ করা মানে সেটি প্রকাশ করা বা ছড়িয়ে দেওয়া নয়। শুধুমাত্র সমাজমাধ্যমের কোনও পোস্টে ‘লাইক’ করা হলে, সে ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারা প্রয়োগ করা যায় না।
আরও পড়ুন:
এই ঘটনার ক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ওই ধারায় মামলা রুজু করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। আইনের এই ধারা অনুসারে, কোনও আপত্তিকর বিষয়বস্তু বৈদ্যুতিন মাধ্যমে প্রকাশ করা বা ছড়ানো হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হতে পারে। তবে অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলে এমন কোনও বিষয়বস্তু পাওয়া যায়নি। যদিও পুলিশের দাবি, তিনি সেটি ‘ডিলিট’ করে থাকতে পারেন। তবে একই ধরনের বিষয়বস্তু হোয়াট্সঅ্যাপ এবং অন্য সমাজমাধ্যমেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে ঘটনার তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি শুধুমাত্র অন্যের প্রকাশ করা একটি সমাজমাধ্যমের পোস্টে লাইক করেছিলেন। সেই কারণে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় মামলা খারিজ করে দিয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট।