Advertisement
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Murder

নবরাত্রিতে আমিষ খাওয়ার বায়না কেন? স্ত্রীকে খুনের পর দেহ লোপাট যুবকের! ধৃত অভিযুক্ত

আমিষ খাওয়ার বায়না করেছিলেন স্ত্রী। বেড়াতে যাওয়ার জন্যও চাপ দিচ্ছিলেন বলে দাবি। এই খুনের নেপথ্যে পারিবারিক অশান্তি জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে মিরাট পুলিশ।

Representational picture of dead body

খুনের নেপথ্যে প্রকৃত কারণ কী? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
মিরাট শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৫৮
Share: Save:

নবরাত্রি উদ্‌যাপনের সময় নিরামিষের বদলে আমিষ খাওয়ার বায়না করায় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন এক যুবক। খুনের পর স্ত্রীর দেহ লোপাটের জন্য কুয়োয় ফেলে দেন তিনি। এই অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের মিরাটের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে পুলিশ। যদিও খুনের নেপথ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার মিরাটের শামলী জেলার বন্টীখেড়া গ্রামের একটি কুয়ো থেকে এক তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা দেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেটি ওই গ্রামের বাসিন্দা অংশুর স্ত্রী ঈশা ওরফে নঈমার দেহ। দু’জনেরই বয়স কুড়ির কোঠায়। অংশুর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। দেহ উদ্ধারের ৩ দিন পর স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে অংশুকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের দাবি, জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন অংশু। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার নবরাত্রির সময় আমিষ খাওয়ার বায়না করেছিলেন স্ত্রী। বেড়াতে যাওয়ার জন্যও চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযুক্তের দাবি। তা নিয়ে তর্কাতর্কির সময় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন অংশু। এর পর গ্রামের কুয়োয় তাঁর দেহ ফেলে দেন।

শামলী জেলার এসিপি ওপি সিংহ জানিয়েছেন, বিয়ের আগে থেকে অংশুর সঙ্গে পরিচয় ছিল ঈশার। এক সময় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাস দশেক আগে আদালতে সইসাবুদ করে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। ঈশার সঙ্গে অংশুর বিয়ে নিয়ে কোনও টানাপড়েন চলছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুলিশের কাছে ঈশার পরিবারের দাবি, ২ মার্চ থেকে তাঁদের মেয়ের খোঁজ মিলছিল না। এর পর ১৩ মার্চ ঘরে ফিরে তিনি জানান, বন্টীখেড়া গ্রামের এক যুবককে বিয়ে করেছেন তিনি। ফলে তাঁর বাড়িতেই থাকতে চান। এর পর ১৭ মার্চ বাপের বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তার পর থেকে মেয়ের সংসারে অশান্তি চলছিল বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ঈশার বাবা রশিদ। তাঁর দাবি, শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। তবে তাতে রাজি হননি ঈশা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Crime Meerut Navratri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy