গুজরাতের বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার ঘটনার দিকে কড়া নজর রাখছে অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গুজরাত সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে শুরু করে দিয়েছে। গুজরাত সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নিগৃহীত দুই বিদেশি ছাত্রের মধ্যে এক জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রণধীর জায়সওয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘গতকাল (শনিবার) আমদাবাদের গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার ঘটনা ঘটে। রাজ্য সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। সংঘর্ষে দুই বিদেশি ছাত্র আহত হয়েছেন। চিকিৎসার পর এক জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এ বিষয় নিয়ে গুজরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।’’
আমদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ যখন পড়ুয়াদের একটি দল ধর্মীয় প্রার্থনায় অংশ নিয়েছিলেন তখন ২০-২৫ জন এসে তাঁদের প্রার্থনায় বাধা দেয় এবং প্রশ্ন তোলে যে, হস্টেলের মধ্যে কেন তাঁরা নমাজ পড়ছেন? কেন তাঁরা মসজিদে গিয়ে নমাজ পড়ছেন না? মালিক জানান, এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এর পর বহিরাগতেরা হস্টেল লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে এবং ভাঙচুর করে। তাতে দুই বিদেশি ছাত্র জখম হন। তাঁদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আহত দুই পড়ুয়া শ্রীলঙ্কা এবং তাজিকিস্তানের নাগরিক।
পুলিশ কমিশনার এএনআইকে আরও জানিয়েছেন, ঘটনায় ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে অমিত শাহের মন্ত্রক।