(বাঁ দিকে) দিল্লির আরও এক কোচিং সেন্টার সিল। (ডান দিকে)। রাজেন্দ্রনগরের সেই কোচিং সেন্টার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
রাজেন্দ্রনগরের কোচিং সেন্টারের ঘটনা নিয়ে এখনও উত্তাল দিল্লি। তার মধ্যেই রাজধানীর অন্য একটি এলাকায় আরও একটি আইএএস কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে কোচিং ক্লাস চালানোর খবর আসতেই সেখানে হাজির হন দিল্লি পুরনিগমের আধিকারিকেরা। তার পরই কোটিং সেন্টারটিকে সিল করে দেন তাঁরা।
পুরনিগম সূত্রে খবর, নেহরু বিহারের একটি কোচিং সেন্টারের টাওয়ার ১,২ এবং ৩-এর বেসমেন্টে কোচিং ক্লাস চালানো হচ্ছে বলে খবর পায় তারা। সেই খবর পাওয়ার পরই ওই কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সেটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। পুরনিগম সূত্রে খবর, কোন কোন কোচিং সেন্টার নিয়ম লঙ্ঘন করে বেসমেন্টে কোচিং চালাচ্ছে, সে বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। তার মধ্যেই নেহরু বিহারের এই কোচিং সেন্টারের খবর তাদের কাছে আসে। তার পরই সেখানে পুরনিগমের আধিকারিকেরা গিয়ে পদক্ষেপ করেন। রবিবারই ১৩টি কোচিং সেন্টার সিল করেছিল পুরনিগম।
রাজেন্দ্রনগরের ঘটনার দায় কার, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও পুরনিগমের গাফিলতিকেই অনেকাংশে দায়ী করছেন পড়ুয়া এবং স্থানীয় লোকজন। পুরনিগমের দিকে আঙুল উঠতেই তড়ঘড়ি সোমবার দুই ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু পড়ুয়াদের অনেকেই দাবি করছেন, দুই ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করে দায় এড়াতে পারে না পুরনিগম। ইতিমধ্যেই রাজেন্দ্রনগরের ঘটনায় পুরনিগমকে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। ওই এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা কেমন ছিল, কোন আধিকারিক ওই এলাকার দায়িত্বে ছিলেন— সব জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও নিকাশি সময় মতো পরিষ্কার করা হত কি না, চুক্তির ভিত্তিতে সেই কাজ করানো হত কি না, সেগুলিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রাজেন্দ্রনগরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই কোচিং সেন্টারের মালিক-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শনিবার কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে যাওয়ায় ডুবে মৃত্যু হয়েছে তিন আইএএস পড়ুয়ার। সেই ঘটনায় উত্তাল এখন উত্তাল দিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy