দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচনে মোতায়েন পুলিশ! ছবি: পিটিআই।
আম আদমি পার্টি (আপ) এবং বিজেপির কাউন্সিলরদের সংঘাতের জেরে আবার ভেস্তে গেল দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়া। ৬ জানুয়ারির পরে মঙ্গলবারও লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা নিযুক্ত ১০ অল্ডারম্যানের শপথ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পুরসভায়। আপ কাউন্সিলরদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে সাক্সেনা নিযুক্ত রিটার্নিং অফিসার তথা বিজেপি কাউন্সিলর সত্য শর্মা, মঙ্গলবার অল্ডারম্যানদের শপথ নিতে ডাকলে সভায় উত্তেজনা ছড়ায়।
দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর আগেই ১০ জনকে মনোনীত সদস্য হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল আপ। শুক্রবার সত্য এক অল্ডারম্যানকে শপথ নিতে ডাকলে বাধা দেন আপ কাউন্সিলরেরা। অশান্তি ঠেকাতে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স কর্মী মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় মেয়র নির্বাচন পর্ব।
ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরভোটে ২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতেছিল কেজরীওয়ালের আপ। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেমে আসে ১০৪-এ। ৯টি ওয়ার্ডে জেতেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। তবে দিল্লির মেয়র নির্বাচনে সেখানকার রাজ্যসভার ৩ জন ও লোকসভার ৭ জন সাংসদ এবং ১৪ জন বিধায়কেরও ভোটাধিকার রয়েছে। যার অর্থ, মোট ২৭৪টি ভোটের মধ্যে যে দল ১৩৮টি ভোট পাবে, সেই দলের প্রার্থীই মেয়র পদে জয়ী হবেন।
অঙ্কের হিসাবে ১৩৪ জন কাউন্সিলর, রাজ্যসভার ৩ জন সাংসদ এবং ১৩ জন বিধায়কের ভোট আপের পক্ষে রয়েছে। অর্থাৎ, সকলে ভোট দিলে ১৫০টি ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচনে আপের প্রার্থীরই জেতা উচিত। অন্য দিকে, বিজেপি পুরভোটে জেতে ১০৪টি আসনে। পরে এক জন নির্দল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া লোকসভার ৭ সাংসদ এবং ১ জন বিধায়কের ভোট বিজেপি পক্ষে ছিল। সে ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে পুরসভায় এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদীর দলের শক্তি ১১৩। কিন্তু অঙ্কের হিসাবে জয় অসম্ভব হলেও পদ্ম-শিবির মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ায় নতুন করে অশান্তি তৈরি হয় দিল্লিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy