Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
National News

সিএএ নিয়ে চুপ মায়াবতী, দলে বীতশ্রদ্ধ সংখ্যালঘুরা

সিবিআই-কে দিয়ে একটি পুরনো দুর্নীতির  অভিযোগ খুঁচিয়ে তুলে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর উপরে চাপ রাখা হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৪২
Share: Save:

নয়া নাগরিকত্ব আইনের জেরে উত্তাল উত্তরপ্রদেশে আগামী দিনে সংখ্যালঘু ভোট আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। রাজ্য রাজনীতির লোকজনের মতে, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে ঝাঁপালেও কিছুটা চাপে রয়েছে মায়াবতীর দল।

লোকসভা ভোটে বিরোধী জোট ধাক্কা খেয়েছে। সিবিআই-কে দিয়ে একটি পুরনো দুর্নীতির অভিযোগ খুঁচিয়ে তুলে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর উপরে চাপ রাখা হয়েছে। গত কয়েক মাসে, ধারাবাহিক ভাবে মায়াবতী যে সব পদক্ষেপ করেছেন, তাতে বিজেপিরই সুবিধা হয়েছে।

দলীয় সূত্রের খবর, এনআরসি এবং নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অগ্নিগর্ভ উত্তরপ্রদেশে কেন্দ্র-বিরোধী কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না বিএসপি। এতে মায়াবতীর উপরে দলের মুসলিম নেতা-কর্মীরা বীতশ্রদ্ধ। গত কাল সনিয়া গাঁধীর ডাকা বিরোধীদের বৈঠকেও যাননি মায়াবতী। এর জন্যও তিনি প্রবল ভাবে সমালোচিত হচ্ছেন সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীদের মধ্যে। দলিত, ব্রাহ্মণ এবং মুসলমানদের এক মঞ্চে নিয়ে এসে মায়াবতীই এক সময়ে ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ শব্দটির আমদানি করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে তাঁর শিবির থেকে সংখ্যালঘু বিদায় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘প্রতিবাদ করাটা সাংবিধানিক অধিকার’

দলে সংঘাতের জেরে উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার সংখ্যালঘু নেতা কানওয়ার দানিশ আলিকে লোকসভার নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মায়াবতী। তার জায়গায় আনা হয়েছে অম্বেডকর নগরের সাংসদ রীতেশ পাণ্ডেকে। মায়াবতী বলছেন, সামাজিক সাম্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। বিএসপি-র রাজ্য সভাপতি মুনকায়াজ আলি। ফলে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পদে একই সম্প্রদায়ের নেতাকে না-রাখাটাই ভাল। তবে রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, এ সব নেহাতই প্রকাশ্যে বলার যুক্তি। মায়াবতীর ক্রমশ বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার রাজনীতিতে ক্ষুব্ধ দানিশ বিরোধিতা করতে শুরু করেছিলেন। তার জেরে এই শাস্তি। মুসলিমদের সমর্থনে আস্থা বা সকলকে এক ছাতায় আনার সামাজিক ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে মায়াবতীর ভরসা এখন সামাজিক সাম্যের বিজেপি সংস্করণে! এতেই ক্ষুব্ধ দলের মুসলিম নেতারা।

উত্তরপ্রদেশে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা সক্রিয় হয়ে ওঠাতেও চাপে পড়ে গিয়েছেন অখিলেশ যাদব, মায়াবতী। যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের গুলিতে রাজ্যে ২০ জনের বেশি নিহত, ধরপাকড় করা হচ্ছে বিশিষ্টজনদের— কিন্তু অখিলেশ-মায়াবতী কাউকেই প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ তা-ও জানিয়েছেন, তাঁর দল নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত আন্দোলনের জেরে পীড়িত পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মায়াবতী অন্য ডালে। তিনি বিঁধছেন কংগ্রেসকে। নিজের রাজ্য ছেড়ে রাজস্থানে কোটার হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস এ ব্যাপারে উদাসীন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Mayawati CAA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy