Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Subansiri Hydroelectric Project

অরুণাচলের পাহাড়ে ধস, নদীখাত বদলে গিয়ে সুবনসিরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিগম (এনএইচপিসি) জানিয়েছে, ‘সুবনসিরি লোয়ার হাইড্রোইলেকট্রিক প্রজেক্ট’-এ ওই নদীবাঁধ থেকেই একমাত্র ‘ডাইভারশন টানেল’ বানানো হয়েছিল।

অরুণাচলে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ।

অরুণাচলে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ইটানগর শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৫৯
Share: Save:

ভয়াবহ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হল অরুণাচল প্রদেশের একটি নির্মীয়মাণ নদীবাঁধ। যার প্রভাবে অসমের সুবনসিরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ধস নামার কারণে সুবনসিরি নদীর উপর নির্মীয়মাণ ২,০০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্রকল্পে জলের সরবরাহের মূল প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জাতীয় জলবিদ্যুৎ নিগম (ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন বা এনএইচপিসি) জানিয়েছে, ‘সুবনসিরি লোয়ার হাইড্রোইলেকট্রিক প্রজেক্ট’-এ ওই নদীবাঁধ থেকেই একমাত্র ‘ডাইভারশন টানেল’ বানানো হয়েছিল। অন্য চারটি ডাইভারশন টানেল আগেই ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জলপ্রবাহ আগের নদীখাতে না ফিরলে ওই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকেই সুবনসিরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তুলে চলেছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। বাঁধ নির্মাণের জন্য গড়া বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে বাঁধের নির্মাণ এবং নকশায় বেশ কিছু ত্রুটির উল্লেখ করা হয়। পরিবেশ ও সুবনসিরি নদীর বাস্তুতন্ত্রে বাঁধের প্রভাব পড়ার কথাও বলা হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রের ‘এক্সপার্ট অ্যাপ্রাইজ়াল কমিটি’ (ইএসি) দু’বার সুবনসিরি প্রকল্পের অনুমোদনের আবেদন বাতিল করেছিল। শেষ পর্যন্ত ২০১৫-য় অনুমোদন দেওয়া হয় বাঁধ এবং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE