গুরুগ্রামে তরুণের রহস্যমৃত্যু। প্রতীকী ছবি।
ভুল চিকিৎসায় বেঘোরে মৃত্যু হল এক তরুণের। কর্মসূত্রে ২০ বছরের ওই তরুণ থাকতেন গুরুগ্রামে। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাতুড়ের কাছে। জ্বর কমাতে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই ঘুমিয়ে পড়েন তরুণ। সেই ঘুম আর ভাঙেনি। পুলিশ হাতুড়ে চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে।
মারুতি সুজ়ুকি ইন্ডিয়ায় শিক্ষনবিশ হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা লীলাধর। থাকতেন আলিয়ার গ্রামের কাছেই একটি বাড়িতে পেয়িংগেস্ট হিসাবে।
অভিযোগে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি সিসিটিভি খুঁটিয়ে দেখেছি। জানতে পেরেছি, ক’দিন আগে লীলার জ্বর এসেছিল। তার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ফাইম নামে এক হাতুড়ে চিকিৎসকের ক্লিনিকে। ওই চিকিৎসক উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাসিন্দা। ওই হাতুড়ে চিকিৎসক লীলাকে একটি ইঞ্জেকশন দেন এবং ঘুমোতে বলেন। লীলা ক্লিনিকেই ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।’’ পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে বেরিয়ে এসে রামঅবতার বলেন, ‘‘ওই চিকিৎসকের স্বীকৃত কোনও ডাক্তারি ডিগ্রি ছিল না। লীলাকে মেরে ফেলার পর তাঁর দেহ সরাতে ওই হাতুড়ে এক বন্ধুকে সঙ্গে নেন। তার পর লীলার দেহ যেখানে তিনি থাকতেন তার কাছে ফেলে চম্পট দেন।’’ প্রসঙ্গত, লীলাধরের দেহ ফেলার দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আবার ওই এলাকায় তদন্তে যায়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখেই হাতুড়ে চিকিৎসক এবং তাঁর বন্ধুকে চিহ্নিত করে শুরু হয় তল্লাশি। দু’দিন পালিয়ে বেড়ানোর পর বৃহস্পতিবার হাতুড়ে চিকিৎসককে ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, দোষ কবুল করেছেন তিনি। আইএমটি মানেসরের এসএইচও সুভাষ চন্দ বলেন, ‘‘ধৃত ব্যক্তির কোনও ডাক্তারি ডিগ্রি ছিল না। আমরা সিভিল সার্জনকে লিখিত ভাবে সব জানিয়েছি। ধৃত কী ভাবে এত দিন ধরে লোকজনের চিকিৎসা করছিলেন, তা খতিয়ে দেখছি। এই চক্রে আরও কে কে জড়িত জানার চেষ্টা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy