Advertisement
০৮ অক্টোবর ২০২৪
Manipur Unrest

তিন দিনের ‘অপারেশন’, মণিপুরে ফের বহু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল সেনা-পুলিশের যৌথ দল

সম্প্রতি দু’টি ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে মণিপুরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের শুরু। তার পর থেকে দফায় দফায় হামলা চলেছে মণিপুরে। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও অস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

মণিপুরে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র।

মণিপুরে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: এক্স।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:২২
Share: Save:

সেনাবাহিনী, অসম রাইফেল্‌স ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ফের বহু আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হল মণিপুরে। দক্ষিণ মণিপুরের পার্বত্য জেলা চুড়াচাঁদপুর, থৌবাল এবং কাকচিং জেলায় তিন দিন-ব্যাপী তল্লাশি অভিযানের পর ওই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

শুক্রবার থেকেই অভিযান শুরু করে সেনা-পুলিশের যৌথ দল। তিন দিন ধরে তিন জেলায় একাধিক অভিযান চলে। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, প্রথম অভিযানে চুড়াচাঁদপুরের জঙ্গল থেকে ম্যাগাজ়িন, পাঁচটি সিঙ্গল ব্যারেল রাইফেল, একটি ৯ এমএম পিস্তল এবং পাঁচটি দূরপাল্লার মর্টার উদ্ধার হয়েছে। শনিবার আর এক দফা অভিযানে কাকচিং থেকে তিনটি কার্বাইন মেশিনগান, একটি ৯ এমএম পিস্তল, দু’টি সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক, হ্যান্ড গ্রেনেড-সহ আরও নানা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। থৌবালেও উদ্ধার হয়েছে কার্বাইন মেশিনগান, ৩২ এমএম পিস্তল এবং বেশ কিছু গ্রেনেড। উদ্ধারকৃত সমস্ত অস্ত্র হস্তান্তর করা হয়েছে মণিপুর পুলিশের কাছে।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই মণিপুরে আরও ছ’মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ বা আফস্পা)-এর মেয়াদ। ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম এবং লামফেল-সহ ১৯টি থানা এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যেই এই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিছু বিক্ষুব্ধ এবং কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর হিংসাত্মক কার্যকলাপ মোকাবিলা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত।

সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পর গত ৬ সেপ্টেম্বর বিষ্ণুপুর জেলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেরেম্বাম কোইরেংয়ের বাড়িতে রকেট হামলা হয়। তার পর থেকে দফায় দফায় হামলা চলেছে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। বিভিন্ন এলাকা থেকে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও সেনার যৌথ দল। তার মাঝেই মণিপুর সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহ দাবি করেন, জঙ্গলযুদ্ধ এবং ড্রোন হামলায় প্রশিক্ষিত ৯০০ কুকি জঙ্গি মায়ানমার থেকে মণিপুরে প্রবেশ করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। পরে সেই জল্পনা নস্যাৎ করেন সেনাপ্রধান। মণিপুরের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি, মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। আলোচনা চলছে কুকি ও মেইতেই দু’পক্ষের সঙ্গে। অন্য দিকে, মণিপুর কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যে হিংসা, অশান্তি চলছেই। কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে আলোচনা চলারও কোনও প্রমাণ নেই।

অন্য বিষয়গুলি:

Manipur Meitei Kuki Militants Unrest Fire Arms
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE