এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মাওবাদী দমনে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করেছে সরকার। সেই আবহেই ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর জেলার জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ফের প্রাণ হারালেন তিন মাওবাদী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে ছত্তীসগঢ়ের সুকমা ও বিজাপুরের সীমানার উসুর-বসাগুড়া এবং পামেড এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। তাতেই নিহত হয়েছেন অন্তত তিন জন মাওবাদী।
বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র কুমার যাদব জানিয়েছেন, শুক্রবার সিআরপিএফ-এর বিশেষ দল ‘কোবরা’, সেনা এবং পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) ওই এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। সকাল ১১টা নাগাদ দু’পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতেই ওই মাওবাদীদের মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষের পরেও সেনা জওয়ানরা সকলেই অক্ষত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন ছ’হাজার ৬১৭ জন পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী এবং সাধারণ নাগরিক। তবে সেই তুলনায় ২০২৩ সাল থেকে মাওবাদী-হানায় হিংসার ঘটনা ৭২ শতাংশ কমেছে। মৃত্যুও কমেছে প্রায় ৮৬ শতাংশ। সম্প্রতি পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন পুলিশকর্মী এবং ৫০ জনেরও বেশি নাগরিক মাওবাদীদের হানায় প্রাণ হারিয়েছেন। বরং উল্টো দিকে, ২০২৪ সালে ২৫০ জনেরও বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ৮১২ জন। আত্মসমর্পণ করেছেন ৭২৩ জন মাওবাদী। ইতিমধ্যেই মাওবাদীদের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য নানা পরিকল্পনা ছকতে শুরু করেছে কেন্দ্র। মাওবাদীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি আত্মসমর্পণ নীতিতেও বদল আনা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। আগামী দিনে মাওবাদকে দেশ থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করাই এখন কেন্দ্রের লক্ষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy