আশ্রয়ের খোঁজে: বন্যাবিধ্বস্ত অসমের গুয়াহাটির পূর্বে একটি গ্রামে। সোমবার। এপি
কাজিরাঙার বুক চিরে যাওয়া ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের তিন ফুট উপর দিয়ে বইছে বন্যার জল। ফলে উজানি ও নামনি অসমের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। নামনি অসমের যানবাহন জখলাবান্ধা ও উজানি অসম থেকে আসা গাড়িগুলি বোকাখাতে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হালধিবাড়ি থানা এলাকায় তিনটি স্থানে জল জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে। একই ভাবে বঙাইগাঁও ও গোয়ালপাড়ার সংযোগকারী জাতীয় সড়ক ডুবেছে কুজিয়া নদীর জলে।
ভুটান থেকে আসা জলের ঢলে নামনি অসমে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলার সদর হাটশিঙিমারী থেকে চার কিলোমিটার দূরের সীমান্ত সড়ক জলে ভেসে গিয়েছে। গুয়াহাটিতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বহমান ব্রহ্মপুত্রের জল গুয়াহাটির ফ্যান্সিবাজার এলাকায় রাস্তার উপরে উঠে এসেছে। জলের চাপে মাটি ধসে বসে গিয়েছে ভরলুমুখ-ফ্যান্সিবাজার সড়কের একাংশ। অসমের বন্যাক্রান্ত মানুষের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রাপ্য ৫৫৯ কোটি টাকা ও সাহায্যের দাবিতে আজ কংগ্রেসের সাংসদেরা সকালে লোকসভার সামনে ধর্নায় বসেন।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়, রাজ্যের ৩৩টি জেলাই বন্যা কবলিত। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪৩ লক্ষ মানুষ। ১৮৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আজ বন্যায় আরও চার জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫। ব্রহ্মপুত্র ও জিঞ্জিরাম নদীর জল বাড়ায় মেঘালয়ের পশ্চিম গারো হিল জেলার সমতল এলাকা প্লাবিত হয়ে ১৫৪টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ জল কবলিত। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা আকাশপথে আজ বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy