হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।
কাশ্মীরি মেয়েদের নিয়ে তাঁর বক্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিকৃত করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। শুক্রবারের জনসভায় তিনি যে বক্তৃতা করছিলেন, তার ভিডিয়ো শনিবার খট্টর নিজেই শেয়ার করেছেন। প্রমাণ করতে চেয়েছেন, তাঁর বক্তব্যকে ইচ্ছে করে অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। জাতীয় মহিলা কমিশন ও দিল্লি মহিলা কমিশন খট্টরের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে। সরব রাহুল গাঁধীও।
রাহুল আজ লেখেন, ‘‘কাশ্মীরের মেয়েদের নিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী, খট্টরের মন্তব্য নিন্দনীয়। বোঝা যাচ্ছে, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা, দুর্বল, কদর্য মানসিকতা ও বছরের পর বছর ধরে আরএসএসের প্রশিক্ষণ কিসের জন্ম দেয়।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘‘আমরা, বিশেষ করে যারা সরকারের উঁচু পদে আছি, তারা যেন জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে নিয়ে অসংবেদনশীল মন্তব্য না করি। কারণ তা শুধু জম্মু-কাশ্মীর নয়, গোটা জাতিকেই আঘাত করবে।’’
রাহুলের টুইটের উত্তরে খট্টর পাল্টা লেখেন, ‘‘রাহুলজি, আপনার মতো নেতার অন্তত বিকৃত খবরের ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া দেওয়া ঠিক নয়। আমি কী বলেছি, তার ভিডিয়ো দিচ্ছি। দেখলে আপনার ধারণা স্বচ্ছ হবে।’’
দেখা যাচ্ছে, সংবাদমাধ্যমে যা জানানো হয়েছিল, তা-ই রয়েছে ভিডিয়োয়। ‘বেটি বচাও বেটি পড়াও’ নিয়ে অনুষ্ঠানে লিঙ্গ-অনুপাত ঠিক রাখার কথা বলছেন খট্টর। তার মধ্যেই বলেছেন, ‘‘এক সময় ধনকরজি (বিধায়ক ও পি ধনকর) বলেছিলেন, বিহার থেকে কনে আনতে হবে। এখন কেউ কেউ বলছেন, কাশ্মীর খুলে গিয়েছে, সেখান থেকে বউ আনবেন। তবে মস্করা বাদ দিন, লিঙ্গ-অনুপাত ঠিক থাকলেই সমাজে ভারসাম্য থাকবে।’’ দিল্লি মহিলা কমিশনের মতে, বিষয়টি হাল্কা ভাবে নেওয়ার কিছু নেই। খট্টরের বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়া উচিত। জাতীয় মহিলা কমিশনও খট্টরকে নোটিস পাঠিয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছে অকাল তখ্তও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy