— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অশান্ত মণিপুরে তোলাবাজির ঘটনা বাড়তে থাকায় পদক্ষেপ পুলিশের। তোলাবাজি রুখতে বিশেষ দলও গড়া হয়েছে। সেই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (আইনশৃঙ্খলা)। রাজ্যের সব আঞ্চলিক ডিআইজি-রাও এই দলের সদস্য।
শনিবার মণিপুর পুলিশের আইজিপি কে কবীর ঘোষণা করেন, গত এক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যাংয়ের মোট ১২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই তোলাবাজির মতো অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ছাড়াও ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। মণিপুরের জাতীয় সড়কের উপর নানা জায়গায় কেন্দ্রীয় আধাসেনা (সিআরপিএফ)-র ১৬টি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। ইম্ফলেও একাধিক চেকপোস্টে জারি হয়েছে আধাসেনার টহল।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে উত্তাল মণিপুর। চলতি মাসের শুরুতে মণিপুরে আরও ছ’মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ বা আফস্পা)-এর মেয়াদ। ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম এবং লামফেল-সহ ১৯টি থানা এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যেই এই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মণিপুরে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত গত বছরের মে মাসে। তার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে বেড়েছে তোলাবাজির মতো ঘটনাও। সম্প্রতি কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার পর থেকে দফায় দফায় হামলা চলেছে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও সেনার যৌথ দল। রমরমিয়ে চলছে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের মতো ঘটনাও। সেই আবহেই এ বার মণিপুর পুলিশের গলায় আশ্বাসের সুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy