—প্রতীকী ছবি।
জুলাইয়ে স্যাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের জয়ের পরে মেইতেই পতাকা গায়ে জড়িয়ে নিয়েছিলেন মণিপুরি ফুটবলার জিকসন সিংহ। তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল বিতর্ক। একই পথে হেঁটে, সন্তোষ ট্রফির গ্রুপ পর্যায়ে ঝাড়খণ্ডকে ৩-০ গোলে হারানোর পরে সেই সালাই তারেত বা কাংলেইপাক পতাকা সামনে রেখে জয় উদ্যাপন করল মণিপুর ফুটবল দল।
বিষয়টি নিয়ে এআইএফএফের কাছে প্রতিবাদপত্র পাঠালেন মিজোরাম ফুটবল অ্যাসোসিয়েনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জোশেফ লালরিনলুয়াংগা। তিনি লেখেন, এই ধরনের কাজ মণিপুরের জো-কুকি জনজাতিদের প্রতি অপমান। কারণ মেইতেইদের হাতে শতাধিক কুকি প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের ঘরবাড়ি, গির্জা পুড়িয়ে তার উপরে ওই কাংলেইপাক পতাকা ওড়ানো হয়েছে। এ ভাবে একটি সম্প্রদায়ের পতাকা জাতীয় প্রতিযোগিতায় ওড়ানো খেলারও নিয়মবিরুদ্ধ। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থাও তার অনুমতি দেয় না। এই কাজ করায় প্রতিযোগিতা থেকে মণিপুর দলকে বাদ দেওয়ার দাবি জানান জোশেফ। কুকি যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফ বলে, মণিপুরের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি এই কাংলেইপাক পতাকা বহুল ভাবে ব্যবহার করে। এমন পতাকা ব্যবহারের বিরুদ্ধে এআইএফএফ ব্যবস্থা নিক।
মণিপুরের ইম্ফল সেগা রোডে ১৪ অক্টোবর হওয়া গুলিচালনার ঘটনায় এক মহিলা-সহ ৫ জন জখম হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি মনোহরমায়ুম বারিষ শর্মার বাড়ির সামনে বিরাট ধর্না বসল। ঘটনার প্রতিবাদে তৈরি যৌথ মঞ্চ দাবি করে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলায় সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। দোষীদের ধরা হচ্ছে না। রাজ্যে ফের বন্দুকরাজ ফিরে এসেছে। বারিষ অবশ্য ঘরছাড়া।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে মণিপুরের হিংসা নিয়ে জমা ১৮টি মামলার মধ্যে ৮টির তদন্ত নিয়ে রাজ্য সরকার রিপোর্ট না দেওয়ায় কমিশনের তরফে সরকারকে স্মারক নোটিস পাঠানো হল। এ দিকে আশঙ্কা সত্যি করে, মণিপুরে শুয়োরের অজানা রোগ আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার বলে প্রমাণিত হল। ফলে যে সব জেলায় শুয়োর মরার খবর এসেছে সেখানে শুয়োর বেচাকেনা নিষিদ্ধ করা হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy