ছবি: সংগৃহীত।
রবিবারে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে ১ জানুয়ারি থেকেই মণিপুরে ইনারলাইন পারমিট (আইএলপি) চালু করার সিদ্ধান্ত নিল এন বীরেন সিংহের সরকার। মণিপুরকে সংশোধনীত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-র আওতার বাইরে রাখতেই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত। যদিও কারা মণিপুরের আবাসিক, তা নির্ধারণের ভিত্তিবর্ষ ঠিক হয়নি এখনও। রাজ্যের গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী টি বিশ্বজিৎ জানান, কেন্দ্র সারা দেশে এনআরসি করুক বা না-করুক, মণিপুরে এনআরসি হবে। তখনই ভিত্তিবর্ষ নির্ধারণ করা হবে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের তরফে বিশ্বজিতের আশ্বাস, “রাজ্যের ইনারলাইন পদ্ধতি যতটা সম্ভব সরল ও বিতর্কহীন রাখার চেষ্টা হবে, কারণ আমরা সকলেই ভারতীয়। কে কোন কারণ রাজ্যে আসছে তার ভিত্তিতে ইনারলাইন পারমিটের শ্রেণিকরণ করা হবে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও আইনজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।”
সিএএ নিয়ে মণিপুরে এখনও বিক্ষোভ চলছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে এই সংশোধনী সংবিধানের ১৪ ধারাকে ভঙ্গ করছে তবে আমি তাঁর সঙ্গে বিতর্কে বসতে তৈরি। প্রতিবাদকারীরাও তা ভাল ভাবেই জানেন। আইনে বিদেশি আনার কথাও ছিল না, তার পরেও মণিপুরকে আইএলপির অধীনে এনে, সিএএ-র আওতা থেকে বাদ দেওয়ায় সকলের উচিত প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেওয়া। এত দশক ধরে, এত আন্দোলন চালিয়েও যা মেলেনি, বিজেপি একবারেই তা দিয়ে দিল।”
কংগ্রেস বিধায়ক কে জয়কিষাণ জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বিতর্কে বসতে তৈরি। তিনি বলেন, “হয় এ নিয়ে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক, নয়তো জনসভার আয়োজন করা হোক। প্রয়োজনে নেওয়া হোক গণভোট।” কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রতিবাদকারীদের শাস্তি দিয়ে ও সমর্থকদের ঘুষ দিয়ে সরকার চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy